সায়ন্তনী দে চিঠির তারিখ ছোট ছোট অক্ষরে লেখা, হাতের লেখা যেন পুরনো স্কুলের বাংলা খাতা থেকে উঠে এসেছে—নির্ভুল, অথচ কেমন যেন কাঁপা কাঁপা। অনুরাধা চিঠিটা পড়ছিলো তৃতীয়বার, চশমার কাঁচে হালকা ঘাম জমে উঠেছে। “তারিখ— ১২ই জুন, ২০২৫। স্থান— দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুরের গলির মাথায়। সময়— রাত ১:১৫। একটি সাদা স্কুটিতে চড়ে যে যুবক ফিরছে, সে জানে না, আজই তার শেষ রাত। ঠিক তার বাড়ির পাঁচ নম্বর ল্যাম্পপোস্টের কাছে তাকে ছুরি মারা হবে।” ডা. অনুরাধা ঘোষ চিঠিটা নামিয়ে রাখলেন। ইরা সেন তখন তাঁর চেম্বারের কাঠের চেয়ারে বসে আছে, কাঁধ পর্যন্ত খোলা সাদা কুর্তির গায়ে আলো পড়ে ঝিকিয়ে উঠছে। মেয়েটির মুখে ভয় নেই,…
-
-
নবনীতা বসু পর্ব ১: “যে চিঠি লেখা হয়নি কখনও” কলকাতার গলিগুলো রাত বারোটার পর অন্যরকম হয়ে যায়। আলো কমে আসে, ট্রামলাইনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছায়াগুলো যেন একটু লম্বা হয়, আর পুরনো বাড়িগুলোর জানালায় সময় দাঁড়িয়ে থাকে। ঠিক যেমন দাঁড়িয়ে থাকে ৩৫, বেণীপুর লেনের পুরনো দোতলা বাড়িটা, যার একতলায় ভাড়া থাকে অনুরাধা। সদ্য চাকরি পেয়েছে, একটা ডিজাইনিং এজেন্সিতে ক্রিয়েটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট। কলেজ স্ট্রিট থেকে বেশি দূরে নয় এই ফ্ল্যাট, আর বাড়িটাও সস্তায় মিলে গেছে বলে না ভাবলেও চলে। বাড়ির ভেতর ঢুকতেই একটা পলকা গন্ধ এসে লাগে তার নাকে—পুরোনো কাপড়, একটু ভ্যাপসা, আর কোথাও ধুলো মাখা কাঠের। অনুরাধা যদিও গন্ধ নিয়ে খুব একটা…