মেঘলা রায় শিমুলডাঙা গ্রামের আকাশ যেন চিরকাল হালকা সীসের রঙে ঢেকে থাকে। গা ছমছমে নীরবতা এখানে শব্দের চেয়েও বেশি জোরালো। সেই নীরবতার বুক চিরে যে ঘরটা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, তার নাম—রায়চৌধুরী বাড়ি। টালির ছাদ ভেঙে পড়েছে অনেকখানি, জানালার পাল্লাগুলো খসে পড়ে আছে মাটিতে, কিন্তু তবুও সে একটা জীবন্ত শরীরের মতো মনে হয়—চুপচাপ শ্বাস নিচ্ছে, তাকিয়ে আছে। তিন বছর আগের কথা। অর্ক মিত্র, কলকাতার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের ছাত্র, গবেষণার খোঁজে এসেছিল এই গ্রামে। বিষয়: ১৯৪০ সালের শেষদিকে গায়েব হয়ে যাওয়া রায়চৌধুরী পরিবারের কাহিনি। কেউ বলে জমিজমা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল, কেউ বলে অভিশাপ, কেউ বা বলে—ওই বাড়ির ভেতর একটা পুকুর…
-
-
দীপান্বিতা রায়চৌধুরী ১ ঘূর্ণি গ্রামটা যেন সত্যিই সময়ের বাইরে পড়ে আছে—পথের ধারে টালির ছাউনির বাড়িগুলো, পুকুরঘাটে সাদা শাড়ি পরা বধূর মুখে মেঘ জমা চোখ, আর সেই নদী, যাকে ঘূর্ণি বলে, সে যেন জলের বদলে গোপন ইতিহাস বইয়ে চলে যায়। ১৯৪৬ সালের অক্টোবর মাস, দেশভাগের আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে, তবু এই গ্রামটায় একটা ভিন্ন নৈঃশব্দ্য। পাখির ডাক, নদীর ছলাৎছল, আর দুপুরের নিস্তব্ধতা—সব মিলিয়ে অচিন্ত্য সেনের চোখে প্রথম দর্শনে ঘূর্ণি এক ধরনের অদ্ভুত মায়ার মতো লাগল। অচিন্ত্য তখন সদ্য পাশ করা একজন তরুণ শিক্ষক, কৃষ্ণনগরের ছাত্র, কিন্তু আদর্শে গাঁথা এক প্রবল দেশপ্রেমিক। আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ পুলিশের লাঠির ঘা খেয়েছে, কিন্তু বাবার অশান্ত…
-
মৈনাক দত্ত আখড়ার প্রথম আলো শান্তিনিকেতন ছাড়িয়ে কাঁকরপথ ধরে যত এগোয় প্রীতম, ততই যেন শব্দ কমে আসে, গন্ধ বাড়ে। মাঠে বাতাসে ধানগাছের ঘ্রাণ, পাখিরা গানের মতো ডাকছে, আর মাঝে মাঝে কোনো অজানা সুর কানে বাজে—কোনো একতারা, না কি সময়ের ধ্বনি, বোঝা যায় না। প্রীতম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। বিষয়—“বাউল দর্শনে দেহতত্ত্ব: এক সমকালীন পাঠ”। থিসিস লিখছে, কিন্তু বই পড়া আর কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করে তার মন ভরে না। সে চায় ছুঁয়ে দেখতে, শ্বাস নিতে। তাই এসেছে শান্তিনিকেতনের কাছের এই অখ্যাত বাউল আখড়ায়, নাম ‘উত্তরের পথ’। পৌঁছাতেই প্রথম যে জিনিস চোখে পড়ে, তা হল একটা তুলসী গাছ। উঠোনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে শান্ত, স্থির।…
-
Shubho Basak Chapter 1: Before the Sun Rises The house was still half-asleep when the alarm rang at 4:30 a.m. The only things fully awake were the bags waiting by the door, the thermos of tea mom had packed the night before, and my younger brother’s overexcited energy that somehow ignored the hour. Outside, the world wore a blanket of mist, soft and shivering, like it didn’t want to be disturbed. But we were already up, wide-eyed and ready to chase a road that didn’t yet have a name. This wasn’t our first trip as a family, but it was…
-
Ritoban Mukherjee The Escape Begins It started with a silence between four friends who had known each other since college but hadn’t spoken properly in months. The kind of silence that grows not out of absence but the slow sediment of routine. It was Pramit who broke it one humid Kolkata afternoon by posting a message in the group chat none of them had used in weeks: “I’m losing my mind. Let’s leave.” The others didn’t ask where or why. Only Tushar replied with a thumbs up emoji. Ranjan added, “I’ll bring the flask.” And Neel, the most reluctant of…