অদিতি সরকার পর্ব ১: আগুনের গান সাঁইথিয়া স্টেশনের বাইরে একটা মেঘলা দুপুর। ট্রেন থেকে নামার পর ধুলো-ওড়া রেললাইন পেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ঐশানী বসু বুঝল, শহরের থেকে এই জায়গাটা সম্পূর্ণ আলাদা। কাঁসার থালার মতো নরম আলো পড়ে আছে গাছেদের পাতায়, আর দূরে ধুলোয় ভেসে আসছে একটানা ঢোলের আওয়াজ। কোথাও কেউ বাউল গাইছে। ঐশানী একজন লোকসংস্কৃতি গবেষক, কলিকাতার এক নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর ও পারফর্মিং আর্টস নিয়ে গবেষণা করে। কিন্তু এইবার তার আগ্রহ ছিল খুব নির্দিষ্ট এক চরিত্রকে ঘিরে—হেমাঙ্গিনী মা। ছয় দশক আগে, এই অঞ্চলেই এক নারী বাউলের খ্যাতি ছড়িয়েছিল। বলা হতো, তার গান নাকি মানুষের ভিতরের পাপ বার করে আনে, আর গান…
-
-
পর্ব ১ আনন্দবাজারের শেষ পাতায় ছোট একটা বিজ্ঞাপন ছিল—“থিয়েটার ওয়ার্কশপ: কেউ যদি মঞ্চের আলোয় হাঁটতে চান, আসুন। বয়স, পেশা, অভিজ্ঞতা—সব এক পাশে সরিয়ে রাখুন।” রুদ্রর চোখে পড়েছিল বিজ্ঞাপনটা এক শনিবারের সকালে, যখন সে অফিস যাওয়ার আগেই হাঁপিয়ে উঠছিল জীবনের নিয়মে বাঁধা পড়ে। কর্পোরেট অফিসের কাঁচের জানালা দিয়ে সে প্রতিদিন শহরটাকে দেখে, কিন্তু তাতে কিছুই দেখা হয় না। ফাইল, মিটিং, টার্গেট—সব কিছুর মধ্যে কোথাও যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিল। নাটকের সাথে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না, কিন্তু শব্দটা ‘চরিত্র’ যেন কেমন করে তার গায়ে লেগে গিয়েছিল। নিজের চরিত্রটা কেমন, সেটাই সে বুঝতে পারছিল না। ওয়ার্কশপের প্রথম দিন ছিল রবিবার। গলফ গ্রিনের একটা…