মেঘলা রায় শিমুলডাঙা গ্রামের আকাশ যেন চিরকাল হালকা সীসের রঙে ঢেকে থাকে। গা ছমছমে নীরবতা এখানে শব্দের চেয়েও বেশি জোরালো। সেই নীরবতার বুক চিরে যে ঘরটা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, তার নাম—রায়চৌধুরী বাড়ি। টালির ছাদ ভেঙে পড়েছে অনেকখানি, জানালার পাল্লাগুলো খসে পড়ে আছে মাটিতে, কিন্তু তবুও সে একটা জীবন্ত শরীরের মতো মনে হয়—চুপচাপ শ্বাস নিচ্ছে, তাকিয়ে আছে। তিন বছর আগের কথা। অর্ক মিত্র, কলকাতার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের ছাত্র, গবেষণার খোঁজে এসেছিল এই গ্রামে। বিষয়: ১৯৪০ সালের শেষদিকে গায়েব হয়ে যাওয়া রায়চৌধুরী পরিবারের কাহিনি। কেউ বলে জমিজমা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল, কেউ বলে অভিশাপ, কেউ বা বলে—ওই বাড়ির ভেতর একটা পুকুর…
-
-
সায়ন্তনী দে চিঠির তারিখ ছোট ছোট অক্ষরে লেখা, হাতের লেখা যেন পুরনো স্কুলের বাংলা খাতা থেকে উঠে এসেছে—নির্ভুল, অথচ কেমন যেন কাঁপা কাঁপা। অনুরাধা চিঠিটা পড়ছিলো তৃতীয়বার, চশমার কাঁচে হালকা ঘাম জমে উঠেছে। “তারিখ— ১২ই জুন, ২০২৫। স্থান— দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুরের গলির মাথায়। সময়— রাত ১:১৫। একটি সাদা স্কুটিতে চড়ে যে যুবক ফিরছে, সে জানে না, আজই তার শেষ রাত। ঠিক তার বাড়ির পাঁচ নম্বর ল্যাম্পপোস্টের কাছে তাকে ছুরি মারা হবে।” ডা. অনুরাধা ঘোষ চিঠিটা নামিয়ে রাখলেন। ইরা সেন তখন তাঁর চেম্বারের কাঠের চেয়ারে বসে আছে, কাঁধ পর্যন্ত খোলা সাদা কুর্তির গায়ে আলো পড়ে ঝিকিয়ে উঠছে। মেয়েটির মুখে ভয় নেই,…