দীপান্বিতা রায়চৌধুরী ১ ঘূর্ণি গ্রামটা যেন সত্যিই সময়ের বাইরে পড়ে আছে—পথের ধারে টালির ছাউনির বাড়িগুলো, পুকুরঘাটে সাদা শাড়ি পরা বধূর মুখে মেঘ জমা চোখ, আর সেই নদী, যাকে ঘূর্ণি বলে, সে যেন জলের বদলে গোপন ইতিহাস বইয়ে চলে যায়। ১৯৪৬ সালের অক্টোবর মাস, দেশভাগের আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে, তবু এই গ্রামটায় একটা ভিন্ন নৈঃশব্দ্য। পাখির ডাক, নদীর ছলাৎছল, আর দুপুরের নিস্তব্ধতা—সব মিলিয়ে অচিন্ত্য সেনের চোখে প্রথম দর্শনে ঘূর্ণি এক ধরনের অদ্ভুত মায়ার মতো লাগল। অচিন্ত্য তখন সদ্য পাশ করা একজন তরুণ শিক্ষক, কৃষ্ণনগরের ছাত্র, কিন্তু আদর্শে গাঁথা এক প্রবল দেশপ্রেমিক। আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ পুলিশের লাঠির ঘা খেয়েছে, কিন্তু বাবার অশান্ত…
-
-
অর্ঘ্য মজুমদার পর্ব ১: চায়ের দোকানটা অদ্ভুত ছিল শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের ঠিক এক কোণায় একটা ছোট্ট চায়ের দোকান আছে, নাম—”ডার্ক চা”। দোকানটা যতটা ছোট, ততটাই অদ্ভুত। এখানে চা বানানো হয় একটা পুরনো কেতলিতে, যার মুখে লাল রঙের একটা পাথর বসানো। দোকানের মালিক একটা তরুণী—নির্মা, বছর সাতাশের মতন বয়স। লম্বা কালো চুল, সিঁথিতে লাল সুতো, চোখে অদ্ভুত ঠান্ডা দৃষ্টি। তার চা খেলে কেউ না কেউ কিছু একটা ভুলে যায়—পুরনো প্রেমিকের নাম, নিজের মোবাইলের পাসওয়ার্ড, বা একটা দুঃস্বপ্ন। শহরের কিছু মানুষ হাসতে হাসতে বলেন, “ও চা না, ডাকিনির পান!” কিন্তু কেউই অদ্ভুতভাবে দূরে থাকে না। বরং সন্ধে হতেই দোকানটা জমে ওঠে—কলেজ পড়ুয়া…