শঙ্খ সেন ১ কলকাতার গরমটা যেন এ বছর আগের থেকেও একটু বেশি বেয়াড়া হয়ে উঠেছে। স্টেট আর্কাইভস বিল্ডিং-এর ভেতরে যদিও পাখার শব্দ আর পুরনো কাগজের গন্ধ ছাড়া কিছু নেই, তবুও ঘাম চুঁইয়ে পড়ে অনির্বাণ মিত্রর কপাল দিয়ে। সে কাজ করে ৩ নম্বর সেকশনে — যেখানে ফাইল নম্বর, শ্রেণি, মাইক্রোফিল্মের ক্যাটালগ এইসব ঘেঁটে দিনের পর দিন কাটে। অনির্বাণ একজন আর্কাইভ অ্যাসিস্ট্যান্ট, বয়স ত্রিশের কাছাকাছি, চোখে চশমা, গলায় ঝুলে থাকা একটা আইডি কার্ড আর স্যাঁতসেঁতে ফাইল ঘাঁটার অভ্যেস। সেদিনও ছিল একটা ক্লাসিক বুধবার। দুপুর নাগাদ অনির্বাণকে ডাকা হয় ৫ নম্বর ভল্টে, যেখানে এক কলেজের অধ্যাপক এসেছেন ১৯৭৬ সালের এক বিশেষ ফাইল খুঁজতে।…
-
-
ঈশিতা পর্ব ১ কলকাতার একঘেয়ে বৃষ্টির দুপুরে বালিগঞ্জের এক ক্যাফেতে বসে ছিল অনিন্দিতা। তার চোখে ছিল হালকা চশমা, এক কাপ দার্জিলিং চায়ে ধোঁয়া উঠছে সামনে। বয়স হয়েছে পঁয়ত্রিশ, কিন্তু মুখে সেই শীতল সংযম—যেটা কেউ গড়ে তোলে হেরে গিয়ে বা জিতে। চুলে একটুখানি পাক ধরেছে, যা সে লুকোয় না। গলায় এক সরু রুপোর হার। ক্লায়েন্ট মিটিং বাতিল হওয়ায় সে এসে পড়েছিল এই ক্যাফেতে—নিজের সঙ্গেই কিছুটা সময় কাটাতে। তখনই দরজা ঠেলেই ঢুকল ছেলেটা। ভেজা চুল, হাতে একটা ক্যামেরা, পরনে সাদা শার্ট আর জিন্স। চোখে ছিল কৌতূহল আর হাসিতে হালকা ছেলেমানুষি। সে এসে সামনের টেবিলে বসলো, আর অর্ডার দিল—”একটা ব্ল্যাক কফি, খুব স্ট্রং।”…