ঈশানী ভট্টাচার্য কলকাতার সিঁথি অঞ্চলের ভেতরে, মরা একটি গলির শেষে দাঁড়িয়ে আছে এক পুরনো লালবাতিওয়ালা দালান—সাইনবোর্ডে লেখা “বেলঘর ডাকঘর – স্থাপিত ১৮৯৩“। দরজার কপাটে জং ধরেছে, জানালায় জালার ফাঁকে ঘুমিয়ে আছে ধুলো। কেউ আর এখানে আসে না। কেউ বলে, ডাকঘর উঠে গেছে। কেউ বলে, ওটা ভূতের জায়গা। তবে অভীক বিশ্বাস করে না ভূতের গল্প। ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, প্রেসিডেন্সিতে পড়ে। পুরনো জিনিসের গন্ধ তাকে ডাকে—জীর্ণ কাগজ, ঝাপসা চিঠি, পুরনো ম্যাপ, ধুলোমাখা বই। সে প্রথম বেলঘর ডাকঘরের কথা শুনেছিল তার দাদুর মুখে—“ওখানে একসময় একটা মিরাকল ঘটত রে। একটা চিঠি পেয়েছিলাম যা কদিন পর লেখা হয়েছিল।” সেই কথা মাথায় রেখেই একদিন…