অর্ঘ্য মৈত্র পর্ব ১: দোতলার জানালার ধারে বৃষ্টি পড়ছে টুপটাপ করে। জানালার পাশে বসে চুপচাপ শুনছি সেই শব্দগুলো, ঠিক যেমন করে শোনতাম ছোটবেলায়। সেই দোতলার ঘরটা, যেখানে একটা কাঠের টেবিল ছিল, তার ওপর সাদা কাপড়ে মোড়া একটা গোল ক্যালেন্ডার। জানালার ওপাশে ছিল বকুলগাছ, আর গাছের মাথায় লুকিয়ে থাকত বৃষ্টির ফোঁটাগুলো। আজকের দিনটা যেন সেই পুরোনো দিনের মতই, শুধু বদলে গেছে সময় আর শহর। মনে হচ্ছে, যেন আবার ফিরে গেছি দক্ষিণ কলোনির সেই ছোট্ট বাড়িটায়, যেখানে আমার ছেলেবেলা জমে ছিল একেকটা গল্পের মত। আমি অর্ঘ্য, জন্মেছিলাম এক শীতের সকালে। মা বলে, সেদিন খুব কুয়াশা ছিল, হাসপাতালের জানালা দিয়ে কিছুই দেখা যাচ্ছিল…
-
-
সৌম্যজিৎ দাশ অধ্যায় ১: লাল মাটির পথ ট্রেনটা যখন বোলপুর স্টেশনে থামল, তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল। অনিন্দ্য ব্যাগ কাঁধে তুলে নামল। মাথার ওপর নীল আকাশ, কিন্তু তার নিচে ছড়িয়ে রয়েছে ধুলো মাখা লাল মাটি। হাওয়ার ঝাপটায় পাতার খসখসানি আর স্টেশনের বাইরে হাঁকডাক—কেমন যেন অন্য এক পৃথিবীতে এসে পড়েছে সে। কিন্তু ও এখানে এসেছে একটা নির্দিষ্ট কারণে—রবীন্দ্রসংগীত ও গ্রামীণ জীবনের প্রভাব নিয়ে রিসার্চ করতে। শহরের কংক্রিট আর কর্পোরেটের ক্লান্তি থেকে একটু মুক্তির জন্যও বটে। এই জায়গাটায় কিছু একটা আছে, যা টানছে তাকে। হয়তো লাল মাটি, কিংবা পলাশের আগুনে রঙ। হাটু পর্যন্ত ধুলো মাখিয়ে আশ্রমপথে ঢোকার সময় চোখে পড়ল চিত্রভবনের সামনের একটা…