Aarav D’Souza Part 1 – The Drummer’s Son The monsoon had begun to soften the air of Goa, the heavy rains washing the red earth until it gleamed like polished stone. Coconut palms bent with the weight of wind and rain, and the Mandovi River ran fuller than before, carrying with it the murmurs of villages and the silence of temples that had once echoed with songs. In one such village, hidden away among groves of jackfruit trees, a boy named Ananta sat with his father’s old drum resting on his knees. The drum was no longer played in public.…
-
-
Rakhi Pradhan Part 1: কলকাতার সেই অজ্ঞাত রাজবাড়ি লন্ডনের শীতল বিকেল। ধূসর আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে জন ওয়াটসনের একমাত্র নাতনি, ক্লারা ওয়াটসন, বক্স খুলে দেখছিলেন এক চামড়ার বাঁধানো ডায়েরি। এটি ছিল তার দাদুর, ডঃ জন এইচ. ওয়াটসনের। বাইরে লেখা—“Personal — Not for Publication”। ক্লারা ছিলেন ইতিহাসের অধ্যাপক। এক আন্তর্জাতিক বইমেলার সূত্রে কলকাতায় এসেছিলেন। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে সে হঠাৎ ভাবলেন—এ শহরটায় কি ওয়াটসনের পা পড়েছিল? সম্ভব কি? তার দাদু তো সবসময় শার্লক হোমসের কেস নিয়ে ঘুরতেন ইউরোপ আর ব্রিটেনে। ডায়েরির প্রথম পাতায় লেখা: “১৮৯৪ সালের গ্রীষ্ম। হোমস তখন ভীষণ বিমর্ষ। মোরিয়ার্টির মৃত্যুর পরে তার মধ্যে এক ধরণের ফাঁকা ভাব। সেই সময়ে,…
-
অনিরুদ্ধ বাগচী নীলচাষের আঘ্রাণ ঘন কালো মেঘ জমেছে আকাশে, যেন আষাঢ়ের শেষের এই সন্ধ্যেটা কোনো অশনি সংকেত নিয়ে এসেছে। শিবপুর গ্রামের গলির মাথায় দাঁড়িয়ে রেণুকা তাকিয়ে ছিল দূরের মাঠের দিকে। ঝুপঝুপ করে বৃষ্টি নামবে—সে নিশ্চয় জানত। কিন্তু বৃষ্টির থেকে বড় ভয় তার মনে বাসা বেঁধেছে আজকাল—নীল সাহেবদের ভয়। এই গ্রামের সব জমিতে এখন আর ধান চাষ হয় না। নীল চাষ হয়। সাহেবরা এসে জমিদারদের সাথে হাত মিলিয়ে গ্রামটাকে বদলে দিয়েছে। আগের সেই সোনালি মাঠ আর নেই। এখন কেবল নীল গাছের শালপাতা রঙের পাতা আর কুয়াশার মত গন্ধমাখা নিঃশ্বাস। রেণুকার স্বামী হরিদাস যখন জীবিত ছিল, তখনো সে প্রথমে বুঝে উঠতে পারেনি…
-
পারমিতা রায় ছাদের উপর সেই পাথরের বাক্স কলকাতার উত্তর শহরতলিতে, শ্যামবাজার থেকে একটু ভেতরে ঢুকলেই যে গলিটার মোড়ে বিশাল এক পামগাছ মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, তার ঠিক পাশেই অবস্থিত “দত্ত ভিলা”। দু’শো বছরের পুরনো এক জমিদারবাড়ি, আজ যার অর্ধেকটা পরিণত হয়েছে কুয়াশা ও কালের ক্ষয়ে ধূসর এক ভগ্নদশা স্তূপে। মেঝেতে ফাটল, দেওয়ালে শ্যাওলা, আর কাঠের জানালায় কেবল বাতাসের ছোঁয়ায় গুনগুন শব্দ—সব মিলিয়ে যেন অতীত নিজে এসে বাসা বেঁধেছে এখানে। এই বাড়ির একমাত্র উত্তরাধিকারী এখন অর্ণব দত্ত—বয়সে প্রায় তিরিশ, ব্রিটিশ মিউজিয়ামের ইতিহাস বিভাগে পিএইচডি শেষ করে সদ্য ফিরে এসেছে লন্ডন থেকে। ঠাকুরদার মৃত্যুর পর এই পুরনো বাড়িটি তার দায়িত্বে পড়েছে। যদিও…