ঋদ্ধিমান গুহ ১ বেঙ্গালুরুর ব্যস্ততার ভিড়ে অদ্বৈতের দিন শুরু হয় একঘেয়ে অফিসের কাজ দিয়ে, শেষ হয় আবার সেই অফিসেই জমে থাকা ফাইলের পাহাড়ে ডুবে থেকে। কম্পিউটার স্ক্রিনে চোখ রেখে রাত কেটে যায়, কফির কাপে ভর করে শরীর চালায়, কিন্তু ভেতরের শূন্যতাকে কিছুতেই পূর্ণ করতে পারে না। উত্তর কলকাতার ছেলেটি ছোটবেলা থেকে কখনো ভাবেনি—শহরের এত দূরে একা পড়ে থাকবে। কাজের চাপ, নতুন জায়গার অনিশ্চয়তা, আর নিঃসঙ্গতা মিলে তাকে ধীরে ধীরে ক্লান্ত করে তোলে। তবু প্রতিদিন রাত নামলেই একটুখানি আলো জ্বলে ওঠে—সোহিনীর কল। ফোনের পর্দায় ভেসে ওঠা তার মুখই যেন অদ্বৈতের দিনের সমস্ত ক্লান্তি মুছে দেয়। কিন্তু এই দেখা শুধুই কাঁচের দেয়ালে…
-
-
শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় ১ সকাল সাতটার ঠিক আগেই, গলির মাথার সেই ছোট্ট চায়ের দোকানে যেন জীবনের রিহার্সাল শুরু হয়। শিবুর দোকান—আসলে এক বাঁশের ফ্রেমে প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে বানানো, একটা মোড়া আর তিনটে বেঞ্চ, পাশে একটা রেডিও ঝুলছে সুতোর টানে—এইখানেই বসে ভবানী কাকু তাঁর রাজত্ব চালান। পাঞ্জাবি-ধুতি পরা, সাদা চুলে হালকা তেল, আর সেই চিরচেনা গোল চশমার আড়ালে মুখভর্তি আত্মবিশ্বাস। হাতে এক কাপ লাল চা নিয়ে বসে থাকেন সবার অপেক্ষায়, যেন এই পাড়ার সকল কথোপকথনের তিনি কর্ণধার। চা-র তাপ, পত্রিকার খবর আর ফুটবল-রাজনীতি-সিনেমা নিয়ে তাঁর ধ্রুপদী বিশ্লেষণ—সব মিলে এক নিখুঁত সকাল তৈরি হয়। “শিবু, চিনি কম নিস! কালও চাপে পড়ে রেণুদি বলল,…