• Assamese

    চকুৰ পথালি

    ৰজনী কুমাৰ দাস ভাগ ১: আগন্তুক বিহুৰ ঢৌ বহু আগতেই আচলালে গাঁওখনৰ মাটি; খৰা বিহানৰ আকাশত তৰা নোহোৱা নীলৰ ওপৰত টিপ টিপে মেঘৰ টোপোলা কিবা এটি উশাহত থকাৰ দৰে নাচি থকাৰ লগে লগে কেঁচা পথাৰৰ পাথৰুৱা লেনত ধূলি উৰি গ’লহি, আৰু তাৰ মাজেৰে হাঁহনি-চাহনি বাৰে বাৰে সলনি কৰি একোটা ছাতি ধৰি এগৰাকী ডাঙৰী বুঢ়ী নোৱাৰৰি এচাম তৰুণী বিদ্যালয়লৈ দীঘল পখিলাৰ ছাঁলৈ আগুৱাই গ’ল; ঠিক সেইসময়তে, গাঁৱৰ উত্তৰফালে পুখুৰীৰ পাৰত বাঁহৰ জালনি থোক থোক কৰি গুচা মাৰি থোৱা ঘৰৰ কাষৰ কেদাৰাত বহি থকাৰ পৰা দুজন মানুহ উঠে মেল খাই ক’লে—“আহিছে, আহিছে, ক’ত যে স্কুলৰ নতুন গৰু!” শব্দটো শুনা নাই যেন, ক’লা…

  • Bangla - অনুপ্রেরণামূলক গল্প

    পেনশনের শেষ চেক

    সন্দীপন ধর খামে মোড়া নীরবতা রমেশচন্দ্র বসু বসে আছেন জানালার ধারে রাখা সেই পুরনো বেতের চেয়ারে। জানালার গরাদের ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়া বিকেলের আলো তার রুপোলি চুলে খেলে যাচ্ছে। মাথার ঠিক পাশেই একটা ছোট কাঠের তাক, সেখানে রাখা তার স্ত্রীর একটা ছবি — মেঘলা শাড়ি, মৃদু হাসি, কপালে ছোট্ট টিপ। নাম ছিল তার — কাবেরী। আজ অনেকদিন পর আবার পোস্টম্যান এসেছিল। লাল-হলুদ ইউনিফর্ম, কাঁধে ব্যাগ। সে বলল, “বসুবাবু, আপনার পেনশনের শেষ চেকটা এসেছে।” রমেশচন্দ্র ধীরে হাত বাড়িয়ে খামটা নিলেন। যেন মৃদু এক স্নেহে ছুঁলেন। এই খামে শুধু টাকা নেই, আছে একটা দীর্ঘ জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা। অফিসের শেষ বেতন মাসেরও বেশি…

  • Bangla - নারীবিষয়ক গল্প

    শেষ মাইক্রোফোন

    সোমশুভ্র লাহিড়ী “এইবার নামো রে, শেষ চিৎকারটুকু রাখ, মাইক-ফাইক ভাঙিস না,” — পেছন থেকে ডাকল তপন, যাত্রাদলের আলো-ধরা ছেলে। শম্ভুদা হাত তুলে বললেন, “এই শেষবার, তপন, আরেকটা ডায়লগ বলি।” মঞ্চে দাঁড়িয়ে শম্ভু সেন, বয়স বাহাত্তর, কাঁপা গলায় বললেন— “জীবনটাই একটা যাত্রা, কিন্তু থিয়েটারটা? ওটা আত্মার আয়না!” চারদিক নিস্তব্ধ। দর্শক বলতে গুটিকয়েক লোক, সবাই চেয়ারে হেলান দিয়ে আছে। কেউ মোবাইলে, কেউ ঝিমুচ্ছে। কেউ আবার পানের পিক ফেলতে ফেলতে বলছে, “ওই বুড়োটা এখনও মরে না কেন?” শম্ভুদা নামলেন মঞ্চ থেকে, হাঁটুর ব্যথায় কুঁজো হয়ে পড়েছেন। কিন্তু চোখে একরকম দীপ্তি। যেন কোনও জয় এসেছে। তপন বলল, “আর কতদিন এইরকম চলবে, দাদা?” “ততদিন চলবে,…

  • Bangla - সামাজিক গল্প

    রঙ বদলানো জানালা

    অনির্বাণ চক্রবর্তী পর্ব ১: আলো এসে পড়ে নয়নপুর শহরের প্রান্তে, সেই লালচে ইটের পুরনো দোতলা বাড়িটা শহরের কোলাহলের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে বহু বছর ধরে। জংধরা গেট, একপাশে বেঁকে থাকা নারকেল গাছ, ছাদে শুকনো কাপড়ের দুলুনি—সব মিলিয়ে এক ধরনের নিস্তব্ধ নস্টালজিয়া। ওই বাড়ির দোতলায় একা থাকেন সরলা দেবী। বয়স পঁয়ষট্টি পেরিয়েছে, স্বামী মারা গেছেন প্রায় বারো বছর আগে, ছেলেটা থাকে ব্যাঙ্গালোরে। আসা-যাওয়ার ব্যবধানটা বছরে একবারে এসে ঠেকেছে অনেক দিন আগে। সরলা দেবীর দিন কাটে একঘেয়ে রুটিনে—ভোরে উঠে তুলসী তলায় জল দেওয়া, কাকের ডাক শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘোমটা টেনে প্রার্থনা, তারপর পত্রিকা পড়া, রেডিওতে গানের ক্লাসিক, দুপুরে নিঃশব্দ ভাত খাওয়া, আর বিকেল…

  • Bangla - সামাজিক গল্প

    তবু আমি থাকি

    শুভাশিস রায় পর্ব ১: ঘর, সমাজ আর আমি স্নিগ্ধা যখন জানলার ধারে দাঁড়িয়ে থাকত, শহরের কোলাহল তার গায়ে কখনও লাগত না। একসময় যে শহরে সে স্বপ্ন দেখতে শিখেছিল, সেই শহরই এখন যেন প্রতিদিন তাকে প্রশ্ন করে—”তুমি এখনো আছো কেন?” তিন বছর আগে দুর্ঘটনায় মারা যায় তার স্বামী অভিরূপ। দাম্পত্য ছিল শান্ত, যদিও প্রেমে রঙের চেয়ে দায়িত্বের ছায়া ছিল বেশি। একমাত্র ছেলে রুদ্র তখন মাত্র আট বছরে পা রেখেছে। অভিরূপের মৃত্যু সংবাদ শুনে ছেলেটার চোখে কোনো প্রশ্ন ছিল না, শুধু একটা স্থির তাকিয়ে থাকা। সেই চাহনি আজও স্নিগ্ধার স্মৃতিতে খোদাই হয়ে আছে। দেখতে গেলে সমাজ তাকে দয়া করে রেখেছে। “বিধবা মেয়েদের…