শ্রাবণী বসু অধ্যায় ১: অচেনা পরিচয় শহরের ব্যস্ততম রাস্তায়, যানজট আর মানুষের ভিড়ে ডুবে থাকা এক বিকেলে, অরণ্যের চোখ হঠাৎ আটকে যায় এক অপরিচিত মুখে। মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে বাসস্ট্যান্ডের কোণে, লাল-সাদা শাড়ি পরা, কাঁধে বইভরা ব্যাগ, আর চোখে যেন এক অদ্ভুত শান্তি। গরমে ক্লান্ত সবাই যখন বিরক্তিতে কুঁকড়ে আছে, মেয়েটির মুখে তখনও একরকম প্রশান্ত ভাব। অরণ্য জানে না কেন, কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে তার বুকের ভেতর ধক করে ওঠে—যেন বহুদিনের হারিয়ে যাওয়া কাউকে আবার খুঁজে পেল। মেয়েটির চুল এলোমেলো হয়ে কপালে লেগে আছে, বাতাসে দুলে পড়ছে গাল ছুঁয়ে, আর সে এক অচেনা জগতে হারিয়ে যেতে চাইছে। অরণ্য থেমে দাঁড়িয়ে তাকে দেখতে…
-
-
অমিয় রায় এক শৈশবের সেই গ্রামের সকালটা একেবারে জ্যোৎস্নার মতো উজ্জ্বল, কিন্তু তার আলো কখনোই চোখে আঘাত করে না। পলাশ আর তারকা, দুজনেই ছেলেবেলার অদ্ভুত সাহস আর কৌতূহলের সঙ্গে ধানখেতের মধ্যে দৌড়াচ্ছে। ধানের কাঁচা গাছগুলো যেন তাদের হাতছানি দিচ্ছে, আর তাদের খেলা যেন প্রকৃতির সাথে মিশে যাচ্ছে এক অদ্ভুত সমন্বয় তৈরি করে। গ্রামের ঘরে এখনও কেবল ধীরে ধীরে ঘুম ভাঙছে, কয়েকটা হাঁস কষ্টে হাঁসছে, আর পথের ধুলো কৌতূহল নিয়ে সূর্যের আলোয় ঝকঝকে করছে। নদীর ধারে সোনালী রোদ পড়ছে, আর তার মধ্যে ছোট ছোট মাছেরা ঝলমল করে হেঁটে বেড়াচ্ছে। পলাশ হেসে চিৎকার করে বলল, “তারকা, ধরা পড়বি না!” আর তারকা হাসি…