নন্দিতা বসু কলকাতার এক গরম দুপুর। শহরের রাস্তাঘাট তখনও গ্রীষ্মের দমচাপা গরমে হাঁসফাঁস করছে। সূর্যের তীব্র আলো জানালা পেরিয়ে লাইব্রেরির ভেতরে ঢুকছিল, কিন্তু ভেতরের শীতল নীরবতা বাইরের জগৎ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এক অনুভূতি তৈরি করেছিল। লাইব্রেরির চিরচেনা গন্ধ—পুরনো বইয়ের মলাট, ধুলোমাখা পাতার গন্ধ, আর কাঠের তাকের গন্ধ মিশে তৈরি করেছে এক অনন্য পরিবেশ। অনন্যা, ইতিহাস বিভাগের মেধাবী ছাত্রী, প্রতিদিনের মতো নিজের গবেষণার কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিল। রবীন্দ্রনাথের লেখার ওপর তার বিশেষ আগ্রহ, তাই প্রায়ই তাকে লাইব্রেরির কবিতা বিভাগে পাওয়া যায়। সেদিনও সে মন দিয়ে খুঁজছিল একখানা বই—“গীতাঞ্জলি”-র প্রথম সংস্করণের একটি বিশেষ কপি। তাকের সামনে দাঁড়িয়ে বইটা খুঁজতে গিয়ে হঠাৎই সে…
-
-
দেবদত্তা মুখার্জী ১ সকাল সাতটা। কলকাতার শহর তখন ধীরে ধীরে জেগে উঠছে। রোদ যেন আলগোছে সলতে পাকিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে শহরের কংক্রিটের দেয়াল বেয়ে। শিয়ালদহ স্টেশনের কাছাকাছি রোডের পাশ দিয়ে দ্রুত হাঁটছে মোহনা চক্রবর্তী, কাঁধে অফিস ব্যাগ, চোখে এক অদৃশ্য ক্লান্তির ছাপ। চারপাশে গাড়ির হর্ন, বাসের ইঞ্জিনের গর্জন, হকারের চিৎকার—সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত কোলাহল। কিন্তু সেই কোলাহলের ভেতরেও যেন মোহনাকে ঘিরে আছে এক নিরবতা। পায়ের নিচে ফ্লাইওভারের ছায়া, ঘাম ভেজা দুপুরের গন্ধ লেগে থাকা বাসস্টপ, এবং তবু মনে হয়—মোহনা যেন হেঁটে চলেছে এক কাঁচের তৈরি অদৃশ্য ঘরের ভেতর দিয়ে। লোকে তাকায়, কেউবা অফিসগামী মেয়ের সাফল্য দেখে প্রশংসা করে, কেউবা আড়ালে ফিসফিস…