• Bangla - নারীবিষয়ক গল্প

    নিষিদ্ধ উঠোন

    শ্রেয়া বসু গ্রামের ভেতরটা এখনও যেন এক পুরোনো ছবির মতো আটকে আছে—মাটির রাস্তা, গাছপালার ছায়া, আর মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা শতবর্ষী জমিদারবাড়ি। বাড়িটার সামনে বিশাল দোতলা বারান্দা, অথচ তার উঠোনে কারও পদচিহ্ন নেই। বছরের পর বছর ধরে শুনে আসা কড়া নিয়ম—“মেয়েরা এই উঠোনে পা রাখবে না।” যেন মেয়েদের উপস্থিতি ওই পুরুষতান্ত্রিক প্রতীকের গাম্ভীর্য ভেঙে দেবে। শিউলি, গ্রামের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে, ছোট থেকেই শুনে এসেছে সেই নিষেধাজ্ঞার কথা। ছোটবেলায় ঠাকুমা গল্প শোনাতেন—একসময় নাকি জমিদারবাড়ির উঠোনে উৎসব হতো, নাটক হতো, পুজো হতো। কিন্তু সবই পুরুষদের দখলে। নারীরা থাকতো রান্নাঘরে বা অন্দরমহলে, দূর থেকে গোপনে তাকিয়ে দেখতো আনন্দ। সন্ধ্যার পর একদিন শিউলি হাঁটতে হাঁটতে…

  • Assamese

    তোমাৰ হাসিৰ ছাঁ

    অরূপজ্যোতি বৰা অংশ ১: ভোগদৈৰ কাষত প্ৰথম আলাপ জোৰহাটৰ চাহ-বাগিচাৰ পাতে পাতে যেতিয়া নতুন হৰিয়ালীৰ সেউজী ৰঙে আকাশত উজাগৰ হ’ব খোজে, ৰিশিতা সেই সেউজীতেই নিজৰ সুৰ খোজে। গাঁওখনৰ নাম বেলগুৰি, ভোগদৈ নদীৰ কাষত এটা প্ৰাচীন বটগছৰ ছাঁত গাঁওবাসীৰ প্ৰতিটো উৎসৱ আৰু বেদনাই নিজকে লুকুৱাই ৰাখে। ৰিশিতা কলেজৰ শেষ বছৰত, কিন্তু তেওঁৰ মনখন সদায়ে সুৰত, গীতত, আৰু অদৃশ্য এক মঞ্চত ভ্ৰমণ কৰি থাকে। পিতৃয়ে বহুদিন আগতেই কৈছিল—“গান তই ভাল গাইছ, কিন্তু পথটো সহজ নহয়। প্ৰত্যেকেই গায়ক নহয়, কিছুমানে বাটত থিয় হৈ থিয় হৈ পাথৰ সৰি গ’লেও সুৰ হারাই নাথাকে।” এই কথাবোৰ ৰিশিতাৰ অন্তৰত গাঢ়কৈ খোদাই হৈ ৰ’লেও, সপোনৰ ক’লা-বগা ৰঙবোৰ সৰহেই…

  • Bangla - নারীবিষয়ক গল্প

    নদীর গোপন নাম

    ঋতুপর্ণা দাশগুপ্ত পর্ব ১: নদীর ডাক গাঁটা যেন অদ্ভুত নিস্তব্ধতায় মোড়ানো ছিল। শীতল দমকা হাওয়া ভোরের আকাশে নীলচে ছাপ রেখে দিত আর দূরে শাল-সেগুনের বনের ফাঁক দিয়ে ভেসে আসত নদীর গুঞ্জন। এই নদীর নাম ছিল কুলেশ্বরী। তবে মাধুরী ছোটবেলা থেকেই জানত, নামটা পুরোটা নয়—এই নদীর আরেকটা নাম আছে, একেবারে গোপন নাম, যা শুধু রাতের আঁধারেই ফিসফিস করে শোনা যায়। মাধুরী তখন দশ বছরের মেয়ে। প্রতিদিন বিকেলে সে বাঁশের ডাল দিয়ে বানানো কঞ্চির দোলনা নিয়ে নদীর ধারে যেত। নদীর পাড়ে বসেই তার পড়াশোনা, খেলাধুলো সবকিছু। কিন্তু এক পূর্ণিমার রাতে, হঠাৎ করেই সে শোনে অদ্ভুত একটা আওয়াজ—যেন নদী গুনগুন করছে। প্রথমে ভেবেছিল…

  • Bangla - সামাজিক গল্প

    পড়শির কাহিনি

    অনির্বাণ সেন পর্ব ১ কলকাতার দক্ষিণ প্রান্তে এক বিশাল আবাসন—গ্লাসের বারান্দা, রঙিন আলো, লিফটে ওঠানামার শব্দে ভরা। সেখানকার অষ্টম তলার ফ্ল্যাটে থাকে দত্ত পরিবার। সুদীপ্ত দত্ত একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে উচ্চপদস্থ অফিসার, মাসের শেষে তার অ্যাকাউন্টে যে বেতন জমে, তাতে অনায়াসেই চলে যায় তাদের তিন সদস্যের সংসার। তার স্ত্রী মৌসুমি, একসময় কলেজে ইংরেজি পড়াতেন, কিন্তু এখন ঘরের দেখাশোনাই তার প্রধান কাজ। মেয়ে ঐশী—নবম শ্রেণির ছাত্রী, পড়াশোনায় মেধাবী, আঁকতে ভালোবাসে, আর মাঝে মাঝে পিয়ানো বাজাতে শিখছে। ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে তাকালে দূরে দেখা যায় আকাশচুম্বী সব টাওয়ার, আর একটু নিচে তাকালেই উল্টো দৃশ্য। ঝুপড়ি ঘরগুলোর ছাউনিতে টিন, কোথাও পলিথিন, কোথাও বা ভাঙা বাঁশ…