রৌনক রায় ১ রাত তখন দেড়টা। সল্টলেকের গলির মুখে জ্বলছে কেবল একটি পথবাতি। সেই হালকা আলোয় ঢাকা পড়ে আছে বিশাল এক ভবনের শেড—যেটিকে বাইরে থেকে সাধারণ কোনো গবেষণাগার মনে হলেও, তার ভেতরে সময় নিয়ে চলছিল এক অকল্পনীয় গবেষণা। ড. অনির্বাণ চৌধুরী বসে আছেন ডেস্কে, সামনে ছড়ানো রয়েছে ঘড়ির যন্ত্রাংশ, একটি প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপিতে লেখা চর্মপুঁথি এবং তাঁর সর্বশেষ নির্মিত কোয়ান্টাম পেনডুলাম। সিগারেটের ধোঁয়া ধীরে ধীরে উঠে মিলিয়ে যাচ্ছে বাতাসে, আর তাঁর চোখ জ্বলজ্বল করছে—দীর্ঘদিনের অভ্যাসে তিনি বুঝে গেছেন, আজ কিছু হতে চলেছে। হঠাৎই ঘড়ির কাঁটা, যেটি তিনি নিজেই ডিজাইন করেছিলেন সময়চক্র পরিমাপের জন্য, ধীরে ধীরে থেমে গিয়ে ঘুরে গেল উল্টো…
-
-
শৌনক বসু ১ পুরনো দিল্লির অন্ধগলি ধরে হাঁটতে হাঁটতে ড. অনির্বাণ চক্রবর্তী প্রথমবারের মতো অনুভব করল যেন সময়ের চামড়া একটু একটু করে খসে পড়ছে। চকবাজারের ঘিঞ্জি পথ, পানের দোকানের কড়া গন্ধ, আর মাটির উপরে গড়াগড়ি দেওয়া জ্যান্ত মশাগুলোর মধ্যেও কিছু ছিল, যা তাকে এই জায়গাটার দিকে ফের টেনেছিল বহু বছর পর। সে একবার এখানে এসেছিল ২০০৯ সালে, তখন সে এম.ফিল ছাত্র। আজ ২০২৫—আরও পরিণত, আরও ক্লান্ত, কিন্তু সেই পুরোনো আগ্রহটা আবার যেন জেগে উঠেছে। তার ব্যাগে ছিল পাণ্ডুলিপির মতো পুরনো এক নকশা—এক মুঘল কেল্লার অংশবিশেষ, যা কোনও সরকারি দলিলেও নেই, কিন্তু আগ্রহী কেউ কেউ বলেন, ওটা “মেহরআলী কেল্লা”—একটা হারিয়ে যাওয়া…