শ্রেয়সী ঘোষাল ১ তপনজ্যোতি মুখার্জি ক্যামেরার ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল আগরতলা রেলস্টেশনের ঠিক বাইরে। ভোরবেলা ট্রেন এসে পৌঁছেছে, কিন্তু ত্রিপুরার পাহাড়ি বাতাসে যেন এক অজানা কিছুর গন্ধ ছিল—অদ্ভুত, রহস্যময়, আর আকর্ষণীয়। সামনে এসে দাঁড়ালেন মৃণালিনী ধর, তার একহাতে একটি নোটবুক, আর অন্যহাতে একটি পুরনো মানচিত্র। এই মানচিত্রেই চিহ্নিত করা ছিল মানিকছড়ি—একটা প্রায় হারিয়ে যাওয়া পাহাড়ি গ্রামের নাম, যেটা আজকের কোনও আধুনিক ম্যাপে খুঁজে পাওয়া যায় না। তপনজ্যোতি, একজন ডকুমেন্টারি নির্মাতা, পুরনো লোককথা নিয়ে কাজ করেন। কিছুদিন আগে একটি ট্রাইবাল মিউজিয়ামে পুরনো বই ঘাঁটতে গিয়ে এই ‘সময়-বিচ্ছিন্ন’ গ্রামের খোঁজ পান। তখনই ঠিক করেন, তিনি সেখানে যাবেন—যা খুঁজে পাওয়ার নয়, তাকেই…
-
-
রূপক হালদার অধ্যায় ১ মুর্শিদাবাদের শেষপ্রান্তে, ভগ্নপ্রায় এক জমিদারবাড়ি — ‘নির্বাণ ভিলার’ — দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের শোকস্তব্ধ কঙ্কালের মতো। ছায়ায় ঢাকা তার প্রবেশপথ, দেয়ালজুড়ে শ্যাওলা আর বিস্মৃতির ছাপ। প্রত্নতত্ত্ববিদ অচিন্ত্য লাহা এই বাড়ির কথা প্রথম শোনেন পুরাতন নথিপত্র ঘাঁটতে গিয়ে—বর্ণনা ছিল সংক্ষিপ্ত: “রায়চৌধুরী রাজপরিবারের ধ্বংসপ্রাপ্ত ভিলা, অচেনা এক আয়নার রহস্য।” এতেই কৌতূহলের জন্ম। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী অচিন্ত্য, যিনি বিলেতে প্রত্নবিদ্যার উপর ডক্টরেট করে ভারতের একাধিক প্রাচীন নিদর্শন উদ্ধার করেছেন, এমন রহস্যময় বর্ণনা উপেক্ষা করতে পারলেন না। ভরা গ্রীষ্মের মধ্যাহ্নে, তিনি পৌঁছালেন সেই জমিদারবাড়ির সামনে—ক্যামেরা, স্কেচবুক, কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি আর এক বুক ইতিহাস-জিজ্ঞাসা নিয়ে। কেয়ারটেকার মাধবচরণ, একটি শীর্ণকায় বৃদ্ধ, প্রায় নিঃশব্দে…