আকাশ ধর ১ গ্রীষ্মের বিকেল তখন ধীরে ধীরে সন্ধ্যার দিকে গড়াচ্ছে। গ্রামের প্রান্তের ফাঁকা মাঠ আর অর্ধেক শুকিয়ে যাওয়া পুকুরের ধারে ছড়িয়ে থাকা বাতাসে ধুলো উড়ছে। অরিন, ষোল বছরের কিশোর, একা একাই হাঁটছিল। পড়াশোনায় মাঝারি মানের হলেও তার মন ছিল অন্য জগতে—আকাশে। প্রায়ই সে চুপচাপ মাঠে বসে তারাগুলো গুনত, কল্পনা করত ওপারে কী আছে। সেইদিনও সে একই অভ্যাসে মাঠের কিনারায় চলে গিয়েছিল, কিন্তু হঠাৎই তার চোখে পড়ে গেল একটি অদ্ভুত দৃশ্য। ঝড়ে ভেঙে পড়া একটি পুরোনো বটগাছের শেকড়ের নিচে কিছু যেন জ্বলজ্বল করছে। দূর থেকে প্রথমে মনে হলো হয়তো কাচের টুকরো, সূর্যের আলোয় ঝিলমিল করছে। কিন্তু কাছে যেতেই অরিন দেখল,…
-
-
অর্কপ্রভ মুখার্জী ঘন বর্ষার রাতে, দক্ষিণ কলকাতার বেহালার উপকণ্ঠে নিজের ব্যক্তিগত ল্যাবরেটরির এক কোণে বসে ড. অনিরুদ্ধ সেন চুপচাপ তাকিয়ে ছিল ছেলের শেষ ব্যবহৃত খেলনা ট্রেনটার দিকে। ট্রেনটা থেমে আছে ট্র্যাকের মাঝখানে, ব্যাটারির অভাবে নয়, বরং সময়ের অভাবে। সেই ট্রেনটার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার ভিতরে এক ছায়া যেন থিতু হয়ে গেছে—সেই ছায়া, যেটা সে এক বছর ধরে প্রতিদিন বয়ে বেড়াচ্ছে নিজের হৃদয়ের গভীরে। তার একমাত্র ছেলে ঋদ্ধি সেন, মাত্র বারো বছর বয়সে মারা গেছে এক মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায়। স্কুল থেকে ফেরার পথে এক মিনি ট্রাক তাকে পিষে দেয়, এবং সে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। অথচ সেই দিনটি ছিল অনিরুদ্ধর জন্মদিন—ছেলেটা…
-
সায়ন পাল ১ হিমালয়ের পাথুরে বুক চিরে গড়ে ওঠা ‘জাতীয় মহাকর্ষ গবেষণা কেন্দ্র’ ছিল এক নিঃসঙ্গ চিহ্ন—যেন সভ্যতা থেকে বহু দূরের এক গোপন সভ্যতার সূচনা। ভারতের বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে এটিই ছিল সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী প্রকল্প—প্রকৃতির গভীরে প্রবেশ করে এমন কিছু আবিষ্কার করার চেষ্টা, যা শুধু তত্ত্বেই সম্ভব ছিল এতদিন। এই কেন্দ্রের নেপথ্যে ছিলেন ডঃ দীপ্তনারায়ণ মুখার্জী, একজন অনমনীয়, নীরব, অথচ অসম্ভব দূরদর্শী পদার্থবিজ্ঞানী। তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল ‘শ্যাডো’ নামের এক গবেষণা ইউনিট, যার লক্ষ্য ছিল মানুষের হাতে কৃত্রিম কৃষ্ণগহ্বর তৈরি করা। প্রায় এক দশকের প্রস্তুতির পর তারা আজ সেখানে পৌঁছেছে—যেখানে একটিমাত্র বোতাম টিপলেই শুরু হবে সেই মহাপরিকল্পনার বাস্তব রূপদান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন…