সৌম্যজ্যোতি ঘোষাল সকালটা ছিল অস্বাভাবিক রকমের শান্ত। পাখিদের কিচিরমিচির যেন কেউ কেটে নিয়েছে আকাশ থেকে। উত্তর কলকাতার বাঘবাজারের গলি ধরে হাঁটতে হাঁটতে রেণুকা দেবী প্রতিদিনের মতো এসে ঢুকলেন হরিপদ দত্তর বাড়িতে। পুরনো রকমের বাড়ি, মেঝের ওপর কাঠের পাটাতন, খোলামেলা বারান্দা আর লোহার গেট। হরিপদবাবু সাধারণত খুব ভোরে উঠতেন—বারান্দায় বসে জল খেতেন, আর তার পোষা শালিখ পাখি ‘কলু’-কে খাওয়াতেন। কিন্তু আজ বারান্দার দরজা খোলা, অথচ তিনি কোথাও নেই। পাখির খাঁচা পাশে ঝুলছে, কলু ঘাড় একদিকে কাত করে তাকিয়ে আছে রেণুকার দিকে, আর বলছে সেই অদ্ভুত কথাটি—”তিনটে বাজে… ও পেছনে তাকিও না!” কাঁপা কাঁপা পায়ে রেণুকা এগিয়ে গেলেন। বারান্দার কোণায়, বাঁশের চেয়ারটিতে…