সৌমিতা রায় শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবের সকাল যেন মাটির গন্ধ, রঙের খেলা আর সুরের মায়ায় মোড়া এক অলৌকিক প্রভাত। ফাল্গুনের হাওয়া যেন হাতের তালুর মতো কোমল, তবু তার মধ্যে লুকিয়ে আছে এক ধরণের উচ্ছ্বাস যা আকাশের নীলকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। আঙিনায় গাছের গায়ে গায়ে হলুদ-কমলা ফুলের মালা ঝুলছে, পথের ধারে আলপনার নকশা, আর সকালবেলার আলোতে লাল মাটির পথ যেন আরও গাঢ় রঙে রাঙিয়ে উঠেছে। কিরণময়ী বাবার দোকানে বসে রঙিন পোড়ামাটির গয়না সাজাচ্ছে—গোলাপি আর সবুজ রঙের কানের দুল, মাটির মালা, ছোট ছোট পায়েলের মতো নকশা করা ব্রেসলেট। বাবার হাতে তৈরি গয়নার উপর তার নিজের আঁকা নকশা উৎসবের ক্রেতাদের চোখে আলাদা করে…
- 
				
 - 
				
দীপান্বিতা মাহাতো ১ পুরুলিয়ার বাঁশডাঙা গ্রামে ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়তেই পাখির ডাকে জেগে ওঠে পাহাড়-জঙ্গলের বুক চেরা গ্রামটা। মাটির বাড়ির চালের নিচে কুয়াশার কুয়াশা, আর তার মাঝখান দিয়ে হেঁটে চলে যায় একটা কিশোরী—ঝুমরি হাঁসদা। তার পরনে হালকা লাল পাড়ের ধবধবে সাদা শাড়ি, হাতে জলভরা কলসি, কিন্তু ঠোঁটে একটানা চলতে থাকা সুর—”গেলি চলে পাহাড়ি পথে, কাহার ডাকে রে মন।” সে একা, কিন্তু একলা নয়। ঝুমরির কণ্ঠে যেন গমগম করে ওঠে পুরো বাঁশডাঙার ঝরা পাতা, মাঠঘাট, আর সেই পাহাড়ের পেছনের রক্তিম সূর্য। ছোট থেকেই ঝুমরির গলার জোর ছিল গ্রামের অন্যসব মেয়েদের চেয়ে আলাদা। মা পূর্ণিমা হাঁসদা ছোটবেলায় নিজের ঠাকুমার কাছ থেকে যে…