সোহম ঘোষ অধ্যায় ১ – অজানার ডাক শহরের ব্যস্ত জীবনে আটকে থাকা সেই তরুণ অভিযাত্রীর প্রতিদিনের দিন যেন একঘেয়ে হয়ে উঠেছিল। ভোরে ঘুম থেকে ওঠা, অফিসে ছুটে যাওয়া, ট্রাফিকের শব্দ, যান্ত্রিক মুখের ভিড়—সবকিছু মিলেমিশে এক অনন্ত চক্রের মতো মনে হতো। মাঝে মাঝে জানালার বাইরে তাকিয়ে সে কেবল ভাবত, এর বাইরে কি আর কোনো জীবন নেই? অজানা পথে হাঁটার, নতুন মানুষ ও নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা তার বুকের ভেতরে অনেকদিন ধরেই দানা বাঁধছিল। শহুরে আলো ঝলমলে জীবন তাকে কখনোই সম্পূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারেনি; বরং তার মনে এক অদৃশ্য শূন্যতার জন্ম দিয়েছিল। একদিন অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে, বইয়ের দোকানে হঠাৎই একটি…
- 
				
 - 
				
অন্তরা মান্না নীলমালা রাজপ্রাসাদের অন্তঃপুরে দাঁড়িয়ে আছে, চারপাশে বিশাল সোনার ঝলমলে আলো, রত্নজড়িত আসবাবপত্র, সোনার কাঁটা-পালিশ করা দরজা, কিন্তু সবকিছুই যেন তার হৃদয়ে খাঁড়া স্রোতের মতো বোঝাপড়া ছিনিয়ে নেয়। ভেতরের নিস্তব্ধতা, সিলিং থেকে ঝুলানো ক্রিস্টালের ঝুমকাগুলি হালকা হেলায় নড়ে ওঠার সময় যে মৃদু আওয়াজ করে, তা নীলমালার কানে এক অদ্ভুত সংকেতের মতো বাজে। সে দেখছে—তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, তার বিয়ে, তার নিজস্ব মতামতের বাইরে কেউ ঠিক করছে। কেবল পারিবারিক রীতি, রাজকীয় শর্তাবলী এবং সামাজিক প্রত্যাশার ঘূর্ণি তাকে চারপাশ থেকে চেপে ধরে। নীলমালার চোখে জল আসে, কিন্তু সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে, যেন কোনো অসহায় পাখি খাঁচার ভিতরে নিজের পাখনা ঝাপটাচ্ছে।…
 - 
				
শুভ্রজিত ঘোষাল অধ্যায় ১ – সূর্যের ডাক ২১শ শতকের শেষ দিকে, পৃথিবীর মহাকাশ পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি এমন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে, যেখানে সূর্যের ক্ষুদ্রতম পরিবর্তনও শনাক্ত করা সম্ভব। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের (ISRC) কলকাতা শাখায় সেই রাতে সবকিছুই ছিল স্বাভাবিক। রাত দুইটা পেরিয়ে গেছে, পর্যবেক্ষণ ঘরে শুধুই যন্ত্রের মৃদু শব্দ, আর কম্পিউটার স্ক্রিনে অনবরত ভেসে আসা ডেটা। হঠাৎ, স্যাটেলাইট “সৌরবিকাশ–৭” থেকে আসা লাইভ ফিডে দেখা গেল এক অদ্ভুত সিগন্যাল—তীব্র তাপের সমুদ্রের মাঝে যেন একটি স্থির, ঠান্ডা বিন্দু। ডিউটি অফিসার প্রথমে ভাবলেন, হয়তো সেন্সর ত্রুটি। কিন্তু চেক করার পর দেখা গেল, সব সিস্টেম ঠিকঠাক কাজ করছে। সঙ্গে সঙ্গেই খবর পাঠানো হল ড. সৌম্যদীপ…