স্নিগ্ধা ঘোষাল (১) শালডাঙা—বাঁকুড়ার ভিতরের এক মাটির গ্রাম, যেখানে সন্ধ্যা নামে বেলাগাভরে, আর কুয়াশা নামে বাতাসে যেন জমাট বিষের মতো। গ্রামটা খুব বড় নয়, কুঁড়েঘর, পুকুর আর শিমুল গাছে ভরা এই জনপদে আধুনিকতার স্পর্শ এখনো খুব বেশি পড়েনি। গাঁয়ের মানুষজন এখনো চাঁদের গতিপথ দেখে দিন গোনে, আর নতুন চাঁদের রাতে হাত জোড় করে মাথায় দেয় পাতাবিহীন বেলপাতা। এই গ্রামে পূর্ণিমার রাত মানে এক অদ্ভুত গুমোট অনুভব—শব্দ নেই, কুকুর ডাকে না, শিশুরাও কান্না থামায়। ঠিক এমন এক পূর্ণিমা রাতেই মেঘ ফুঁড়ে আলো নেমেছিল গ্রামের এক কোণার পুরনো বাড়ির উঠোনে। কেউ ঠিক জানে না কখন শুরু হয়েছিল ওটা—তবে সকালের আলসে আলোয় দেখা…
-
-
সিদ্ধাৰ্থ ঘোষাল এক দূর রাজস্থানের মরুপথ পেরিয়ে ড. সায়ন মিত্র সেই পরিত্যক্ত দুর্গে পৌঁছেছিলেন এক গ্রীষ্মসন্ধ্যায়, যখন সূর্যাস্তের আগুনে মিশে যাচ্ছিল বালি ও ইটের স্তম্ভ। চারপাশে ধ্বংসস্তূপের নীরবতা, কেবল মাঝে মাঝে বালুর ঝোড়ো বাতাসের শব্দ, আর পুরনো দরজার কঁকিয়ে ওঠা। এই দুর্গটি, লোকমুখে “রক্তবিন্দু মহল” নামে পরিচিত, মূলত ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পরিত্যক্ত হয়। স্থানীয় কাহিনি অনুসারে, এখানে রাজা বিক্রমসিংহের পুত্রবধূ প্রতিভাদেবী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন এক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে—তাঁর রক্তে ভেজা একটি নেকলেস আজও কোথাও লুকিয়ে আছে, এমনটাই দাবি করে লোককথা। কিন্তু সায়নের আগ্রহ রূপকথায় নয়—তিনি খুঁজছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ, ইতিহাসের দলিল। সঙ্গে ছিল তার পুরোনো খাতাগুলি, ক্যামেরা, এক বোতল জল…