এক মাঘ মাসের শেষে মুর্শিদাবাদ শহরের ভেজা শীত এখনও হাড়ে হাড়ে কাঁপায়। গঙ্গার পাড় ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা রাজবাড়ির ছায়ায়, ড. সায়ন্তনী মুখোপাধ্যায় একটি পুরাতন প্রত্নতাত্ত্বিক ফাইল হাতে নিয়ে চুপ করে বসেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি অনুদানের ভিত্তিতে তিনি এসেছেন মুর্শিদাবাদের হারিয়ে যাওয়া ফোক-কালচার আর মুঘল-পরবর্তী ইসলামি নির্মাণকলা নিয়ে গবেষণার জন্য। কিন্তু আসল আগ্রহ তাঁর ছিল এক রহস্যময় বস্তু নিয়ে—যার নাম কেবলমাত্র একটি ডকুমেন্টে পাওয়া গিয়েছিল: “শ্বেতপাথরের বালিশ।” নথিতে লেখা ছিল, এটি এক সময় একটি প্রাচীন মসজিদের গোপন কামরায় রাখা হত এবং বলা হত যেই এই বালিশে একবার মাথা রাখে, সে মৃতদের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে—তাদের যন্ত্রণার স্মৃতি, তাঁদের না-বলা ইতিহাস যেন…
-
-
অভিষেক দাশগুপ্ত ১: মেটিয়াবুরুজের গলিগুলো ভোরবেলা সবচেয়ে বেশি কথা বলে—হলুদ আলোয় ভিজে থাকা চায়ের দোকান, ঠেলাগাড়িতে করে পাঁউরুটি বয়ে নিয়ে চলা কিশোর, আর কুকুরের দল ঘুম থেকে উঠে একে অপরকে চেনার জন্য ঘেউ ঘেউ শুরু করে দেয়। সৌভিক ঘোষ, শহরের এক ক্ষুদ্র কুরিয়ার কর্মী, প্রতিদিন এই জীবনের মধ্যেই নিজেকে খুঁজে ফেরে। মাথায় হেলমেট, পিঠে বড় ডেলিভারি ব্যাগ, আর মুখে একরকম নির্লিপ্ত ভাব নিয়ে, সে বাইকে চড়ে চুপচাপ চলে যায় অজানা ঠিকানার খোঁজে। সেদিন সকালটাও তেমনই ছিল—সৌভিক মেটিয়াবুরুজের কুরিয়ার হাব থেকে ডেলিভারির জন্য তিনটি পার্সেল হাতে পায়। দুইটা ছিল সাধারণ—একটা ফুড প্রসেসরের বাক্স, আরেকটা একটা নতুন মোবাইল ফোন। কিন্তু তৃতীয় প্যাকেটটা…