শ্রেয়া বসু প্রথম পর্ব গ্রীষ্মের দুপুরে দক্ষিণবঙ্গের এক অখ্যাত গ্রাম—নাম কুড়ুলিয়া। এখানে আসলে যেন সময় থেমে আছে। মাটির পথ, দুই ধারে শাল, সেগুন, আমগাছের সারি, আর একেবারে প্রান্তে গিয়ে হঠাৎ ভেসে ওঠে বিরাট এক ধ্বংসস্তূপের মতো ইমারত—কুড়ুলিয়া জমিদারবাড়ি। একসময় এখানে ছিলো উৎসব, মহাফেজখানা, পূজোর জাঁকজমক, বেহালার সুর। এখন শুধু ভাঙা দেওয়ালের ফাঁক দিয়ে জন্মানো লতাগুল্ম, আর মাঝে মাঝে রাতের বেলা শেয়ালের ডাক। লোকজন বলে, জমিদারের ভোগঘরটা বহু বছর ধরে বন্ধ। ভোগঘর মানে দেবদেবীর নৈবেদ্য রাখার জায়গা নয়, এখানে তার আলাদা মানে। বলা হয়, জমিদারের ভোগঘরে রাজপ্রাসাদের গোপন আনন্দ-আয়োজন হত। দাসী, নর্তকী, সঙ্গীত, মদ আর রাতভর ভোগ। কিন্তু সেই ভোগঘরের ভিতরেই…
-
-
রক্তিম জানা বাড়িটা একটু বেশিই ঠান্ডা বিকেল পাঁচটা বাজতে না বাজতেই চারজন দাঁড়িয়ে ছিল পাণ্ডুগ্রামের পুরনো ‘সিংহবাড়ি’র সামনে। সাদা রঙের ছোপ ছোপ দেয়াল, বড় বড় কাঠের জানালা, আর ছাদের কিনারা দিয়ে বেয়ে নামা আগাছা দেখে মনে হচ্ছিল বাড়িটা কাঁদছে। “এই বাড়িতেই না তোর মামাবাড়ি ছিল, বুদু?”— প্রশ্ন করল চঞ্চল, যার চশমার কাঁচের পেছন থেকে সবসময় একটা অবিশ্বাস ফুটে বেরোয়। “হ্যাঁ রে… কিন্তু তোরা জানিস না, আমার মামারা কেন এই বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় চলে গেল,”— গলায় অদ্ভুত এক থমথমে ভাব এনে বলল বুদু। “ভূতের গল্প করিস না,”— বলল তোতন, যার বুকের মধ্যে বাঘ থাকলেও পোকা দেখলে চেঁচিয়ে উঠে। “ভূত হলে তো…