সন্দীপ পাল ১ অয়ন তখন সবে সতেরোর কিশোর, ক্লাস টেনের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করে কিছুদিন অবসর কাটাচ্ছে। তার সবচেয়ে বড় অভ্যাস ছিল রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা, কারণ অন্ধকার ভরা আকাশে ছড়িয়ে থাকা নক্ষত্রগুলো যেন তাকে এক অদ্ভুত শান্তি এনে দিত। সে জানালার পাশে বসে থাকত, অনেক সময় ডায়েরি খুলে নোট লিখত—কোন নক্ষত্র কোন দিকে জ্বলছে, চাঁদের আলো কেমনভাবে মাটিতে ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু সেদিন রাতে, হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে গেল। আয়নায় নিজের মুখের দিকে তাকাতে গিয়ে সে টের পেল, তার চোখে যেন ভেতর থেকে এক অদ্ভুত আলো ঝলমল করছে। প্রথমে সে ভেবেছিল হয়তো আলো পড়ার কারণে এমন দেখাচ্ছে, হয়তো ঘরের…
-
-
সায়ন পাল ১ হিমালয়ের পাথুরে বুক চিরে গড়ে ওঠা ‘জাতীয় মহাকর্ষ গবেষণা কেন্দ্র’ ছিল এক নিঃসঙ্গ চিহ্ন—যেন সভ্যতা থেকে বহু দূরের এক গোপন সভ্যতার সূচনা। ভারতের বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে এটিই ছিল সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী প্রকল্প—প্রকৃতির গভীরে প্রবেশ করে এমন কিছু আবিষ্কার করার চেষ্টা, যা শুধু তত্ত্বেই সম্ভব ছিল এতদিন। এই কেন্দ্রের নেপথ্যে ছিলেন ডঃ দীপ্তনারায়ণ মুখার্জী, একজন অনমনীয়, নীরব, অথচ অসম্ভব দূরদর্শী পদার্থবিজ্ঞানী। তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল ‘শ্যাডো’ নামের এক গবেষণা ইউনিট, যার লক্ষ্য ছিল মানুষের হাতে কৃত্রিম কৃষ্ণগহ্বর তৈরি করা। প্রায় এক দশকের প্রস্তুতির পর তারা আজ সেখানে পৌঁছেছে—যেখানে একটিমাত্র বোতাম টিপলেই শুরু হবে সেই মহাপরিকল্পনার বাস্তব রূপদান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন…