দীপক মিস্ত্ৰী ১ বেঙ্গালুরুর উপকণ্ঠে অবস্থিত বিশাল স্পেস রিসার্চ কমপ্লেক্সটি দিনের বেলায় সাধারণ সরকারি গবেষণাগারের মতোই মনে হয়, কিন্তু রাত নামলেই তার প্রকৃত চেহারা ধরা দেয়—যেখানে হাজারো যন্ত্রপাতি, স্যাটেলাইটের ক্ষুদ্র প্রতিরূপ, এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সর্বাধুনিক ল্যাবগুলো এক অদ্ভুত উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। এখানে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে চলতে থাকা গোপন প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাহসী ও রহস্যময় ছিল প্রকল্প নক্ষত্রবীজ। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য শুধু মহাকাশে উদ্ভিদ জন্মানো নয়, বরং এমন এক জীবন্ত সত্তা তৈরি করা, যে অক্সিজেনশূন্য চাঁদের ধূসর মাটি কিংবা মঙ্গলগ্রহের লৌহসমৃদ্ধ মৃত প্রান্তরে বেঁচে থাকতে পারবে এবং নিজে থেকেই অক্সিজেন উৎপন্ন করে একটি ক্ষুদ্র বাস্তুতন্ত্রের সূচনা ঘটাবে। পৃথিবীর সীমিত সম্পদ ও…
-
-
সঞ্চারী নাথ মঙ্গলেও চা মঙ্গল গ্রহের লালাভ আকাশের নিচে গড়ে উঠেছিল ‘জিরো-জী টাউন’—ভারতীয় বাঙালিদের প্রথম মহাকাশ উপনিবেশ। মাধ্যাকর্ষণ প্রায় শূন্য, তাই সবকিছু ভাসমান, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল এক নতুন অভিজ্ঞতা। এই শহরের মাঝখানে ভাসমান ছোট্ট এক ক্যাপসুল, যার নাম ‘চা-রকেট’। চন্দন ঘোষ, বয়স তিরিশের কাছাকাছি, ‘চা-রকেট’ চালান। তার বানানো চায়ের স্বাদে মঙ্গলবাসীর হৃদয় জয় করেছে। একদিন বিকেলে, ঝুমুর সেন নামে এক মহাকাশ প্রকৌশলী ‘চা-রকেট’-এ এসে এক কাপ লাল চা অর্ডার করল। ঝুমুর ছিল নতুন পোস্টিং পাওয়া, তার কাজ মহাকাশ ক্রায়োজেনিক রিয়্যাক্টর ঠিক রাখা। তার আগমন চন্দনের জন্য ছিল অপ্রত্যাশিত, আর সেই ছোট্ট ‘ভাসমান চা’-র দোকানে দুজনের মধ্যে অদ্ভুত একটা টান…