• Bangla - ভূতের গল্প

    চতুর্দোলার কনে

    অদ্রীশ সেনগুপ্ত পর্ব ১ : পূর্ণিমার রাত পূর্ববঙ্গ থেকে ভেসে আসা লোককথার মতোই যেন গল্পটা শুরু হয়েছিল। নদীর ধার ঘেঁষে ছোট্ট গ্রাম—দেবীপুর। এই গ্রামে আজও অনেক পুরনো আচার চলে, আর আছে নানারকম অদ্ভুত গল্প, যেগুলো নিয়ে লোকেরা আড্ডা দেয় সন্ধেবেলা পুকুরঘাটে বা মাঠের আলপথে বসে। তবে সবচেয়ে বেশি ফিসফাস হয় যে কাহিনী নিয়ে, তা হলো চতুর্দোলার কনে। এই গ্রামে বছর পঁচিশ আগে একটা বিয়ে ভেস্তে যায়। কনে সীতারা—সাদা মুখশ্রী, টকটকে লাল শাড়ি পরা, চোখে ভয় আর লজ্জার ছায়া। হঠাৎই বিয়ের দিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেকের মতে সে বিষ খেয়েছিল। কিছুদিন পর মৃতদেহকে গ্রামের লোকেরা মন্দিরের পাশে এনে চার বাঁশে বাঁধা…

  • Bangla - তন্ত্র

    চৌষট্টি যোগিনী মন্দিরের রহস্য

    অপূর্ব ঘোষ অধ্যায় ১ – আগমন ভুবনেশ্বরের কোলাহল পেরিয়ে যখন গাড়ির চাকা ধুলো উড়িয়ে হিরাপুর গ্রামের সরু কাঁচা রাস্তায় ঢুকল, তখন সূর্য পশ্চিম আকাশে রক্তিম আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। একদল প্রত্নতাত্ত্বিক, যাদের চোখে স্পষ্ট কৌতূহল ও উত্তেজনা, গাড়ি থেকে নেমে এল ধীরে ধীরে। দলের নেতৃত্বে ছিলেন ডক্টর অনিরুদ্ধ মুখার্জি, প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্য ও তান্ত্রিক মন্দির নিয়ে খ্যাত এক গবেষক। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী প্রফেসর সঞ্জনা সেন, যিনি সম্প্রতি পুরাণ ও লোকবিশ্বাস নিয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও ছিলেন দুই তরুণ প্রত্নতত্ত্ববিদ—অভিজিৎ ও রোহন—যাদের উচ্ছ্বাস প্রায় বালকসুলভ। তারা এসেছেন বিখ্যাত চৌষট্টি যোগিনী মন্দিরের রহস্য অনুধাবন করতে, যেটি শুধু শিল্পকলার নয়, আধ্যাত্মিক ও গুপ্ততান্ত্রিক…

  • Bangla - রহস্য গল্প

    বনানীর অন্ধকারে

    অভ্রনীল দত্ত পর্ব ১ – যাত্রা শুরু সকালবেলা কোলাহলমুখর শিয়ালদহ স্টেশনের ভিড়ের ভেতর দিয়ে যখন তারা সবাই প্ল্যাটফর্মে পৌঁছল, তখনও কারও মাথায় ছায়ামাত্রও ছিল না কী অপেক্ষা করছে সামনে। কলকাতার এই পাঁচজন কলেজ–বন্ধু—অনিক, সুমিত, তন্ময়, দেবলীনা আর রুদ্র—দীর্ঘদিন পর আবার মিলে একসঙ্গে কোথাও বেরোচ্ছে। গন্তব্য সুন্দরবন। ভ্রমণের উদ্দেশ্য একটাই—দু–একদিন শহরের কোলাহল ভুলে প্রকৃতির নির্জন অরণ্যে কিছুটা সময় কাটানো, বাঘ দেখার ভাগ্য হলে আরও ভালো, আর সবার ওপরে একধরনের অদেখাকে দেখার আকাঙ্ক্ষা। রুদ্র, যে দলের মধ্যে সবচেয়ে উচ্ছল, আগেই পরিকল্পনা করেছিল গোটা ট্রিপ। সে বলেছিল—“এইবার তো পুজোর ভিড় নেই, একেবারে নিস্তব্ধ জঙ্গলে গিয়ে আসব। কী রোমাঞ্চ বলো তো!” বাকিরা তার কথায়…

  • Bangla - তন্ত্র

    কালীপুরাণের পর্দা

    শঙ্খ সেন অজানা ডাক কলকাতার একটি প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ছাত্রী সুমি। বয়স তেইশ, তীব্র কৌতূহল এবং অদম্য সাহস তার মধ্যে মিশে রয়েছে। সে বিশ্বাস করে, পুরোনো গল্পগুলো সত্যি না হলেও, তাদের মধ্যে কিছু না কিছু গভীর অর্থ থাকে। কিন্তু এই বিশ্বাস কখনোই এত শক্তিশালী হয়ে উঠেনি যতটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল যখন সে প্রথমবারের মতো গ্রামে গিয়েছিল, যেখানে কালীপুরাণের রহস্যময় পুস্তকটির কথা শোনা গিয়েছিল। সুমি একটি গবেষণার কাজের জন্য গ্রামে আসছিল, এক অজানা সত্ত্বা, এক রহস্যময় পুস্তক এবং কিছু পুরনো প্রাচীন উপাখ্যান তাকে ডেকেছিল। তার সহকারী, সঞ্জীব, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো পুরাণবিদ্যা বিভাগের গবেষক, তাকে এই গ্রাম সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিল। সঞ্জীব…