এক ড. অমিতাভ সেনগুপ্ত ছিলেন দেশের অন্যতম খ্যাতিমান পদার্থবিদ, যিনি সময় ও শক্তি-সম্পর্কিত গবেষণায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নাম কুড়িয়েছিলেন। তাঁর বাড়ি, উত্তর কলকাতার এক পুরনো দোতলা বাড়ি, যেন বিজ্ঞান আর প্রাচীনতার এক অদ্ভুত মেলবন্ধন—একদিকে আধুনিক ল্যাবরেটরি, অন্যদিকে কাঠের আসবাব, পুরনো বইয়ের তাক, আর দেয়ালে টাঙানো বিরল ঘড়ি। সেই বাড়ির স্টাডি রুমে, এক শীতল নভেম্বরের রাত, পুলিশ এসে দেখতে পেলেন—ড. সেনগুপ্ত মেঝেতে উপুড় হয়ে পড়ে আছেন, তাঁর ডান হাত ছড়ানো, মুখে এক অদ্ভুত বিস্ময়ের ছাপ। চোখ আধখোলা, যেন মৃত্যুর মুহূর্তে তিনি কিছু দেখেছিলেন যা তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল। ঘরের বাতাসে ভাসছে পুরনো কাঠের গন্ধ, জানলার ফাঁক দিয়ে ঢুকছে ঠান্ডা হাওয়া, আর দেয়ালে…
-
-
ঐশী মুখার্জী পর্ব ১: আগমন রাত্রি নামে ধীরে ধীরে, যেমন করে কোনও চেনা মুখে অচেনা ছায়া নেমে আসে। নবগ্রাম যেন শহরের এক ভুলে যাওয়া বাঁক—আলপথে মোড়া, কুয়াশার ভিতর ঢাকা, আর কোনো এক অসমাপ্ত অভিশাপের ভিতর আটকে থাকা একটি গ্রাম। এখানেই থামল ছ’জন তরুণ নাট্যদলের সদস্য—সাগ্নিক, শ্রেয়সী, ঋদ্ধি, অয়ন, তুরীণ আর জয়িতা। তারা এসেছে একটা নাটকের রিহার্সাল করতে, যার জন্য দরকার ছিল এক নির্জন জায়গা, দূরে শহরের কোলাহল থেকে। এই ‘রাতবাড়ি’র কথা জানিয়ে দিয়েছিল তুরীণের মামা, যিনি স্থানীয় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বাড়ির নাম শুনেই একটা কাঁটার মতো কিছু গাঁথা ছিল সাগ্নিকের মনে—“রাতবাড়ি”—মানে কি? রাত হলে বাড়ি জেগে ওঠে, না কি…