শুভ্রনীল দত্ত পর্ব ১: ফিরে আসা বাড়িটার নাম মধুবন কোঠি হলেও সেখানে এখন আর মধু নেই, নেই কোঠির আভিজাত্য। কয়েক দশক আগেও যেখানে চিত্রশিল্পীরা আসতেন রং তুলিতে ধরতে তার সৌন্দর্য, এখন সেখানে কেবল ধুলো, ঝোপঝাড় আর খালি জানালার ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়া সময়। ঋদ্ধি মেট্রো থেকে নেমে টোটো ধরে পৌঁছাল গ্রামের মোড় পর্যন্ত। বাকিটা হেঁটেই যেতে হবে। এই বাড়িতে সে শেষ এসেছিল আট বছর বয়সে, দাদুর শ্রাদ্ধে। তারপর বাবা-মা বিদেশে চলে গেলে কলকাতায় মামাবাড়িতেই মানুষ হয়েছে। কিন্তু হৃদয়ের এক কোণে এই বাড়িটা যেন মায়ার মতন আটকে ছিল। “আপনি ওখানে যাচ্ছেন?”—টোটোচালক একটু থেমে বলেছিল, নাম শুনেই মুখ অন্ধকার। “হ্যাঁ, মধুবন কোঠি।…
-
-
ঋধিমান বসু মাঝরাতে সেই ডাকটা আবার এল। “সু-র-জ…” নরম, স্নিগ্ধ অথচ ভয়ানকভাবে গভীর সেই আওয়াজ যেন কানে নয়, সোজা মগজে ঢুকে পড়ে। গায়ের রোম খাড়া করে দেয় এমন এক সুরে, যেন হাজার বছর আগের কোনো প্রতিজ্ঞার স্মৃতিচিহ্ন বাজছে। তিন মাস হলো সূরজ সাঁতরাগাছির এই পুরোনো ভাড়াবাড়িতে উঠেছে। চাকরির কারণে কলকাতা থেকে দূরে, একটু নিরিবিলি জায়গা খুঁজছিল। বাড়িটা পছন্দ হয়েছিল শুধু একটাই কারণে—ভাড়া খুব কম। আর যেটা কম, সেটা সবসময় সন্দেহজনক হয়। সূরজ একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু তার মনে আজীবন একটা ফাঁকা জায়গা ছিল। সম্পর্কের ক্ষেত্রে বারবার ব্যর্থতা, মনের মতো কাউকে না পাওয়া, একাকীত্ব তাকে নীরব করে তুলেছিল। সে ভাবত, “যদি…