ঐশী মুখার্জী পর্ব ১: আগমন রাত্রি নামে ধীরে ধীরে, যেমন করে কোনও চেনা মুখে অচেনা ছায়া নেমে আসে। নবগ্রাম যেন শহরের এক ভুলে যাওয়া বাঁক—আলপথে মোড়া, কুয়াশার ভিতর ঢাকা, আর কোনো এক অসমাপ্ত অভিশাপের ভিতর আটকে থাকা একটি গ্রাম। এখানেই থামল ছ’জন তরুণ নাট্যদলের সদস্য—সাগ্নিক, শ্রেয়সী, ঋদ্ধি, অয়ন, তুরীণ আর জয়িতা। তারা এসেছে একটা নাটকের রিহার্সাল করতে, যার জন্য দরকার ছিল এক নির্জন জায়গা, দূরে শহরের কোলাহল থেকে। এই ‘রাতবাড়ি’র কথা জানিয়ে দিয়েছিল তুরীণের মামা, যিনি স্থানীয় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বাড়ির নাম শুনেই একটা কাঁটার মতো কিছু গাঁথা ছিল সাগ্নিকের মনে—“রাতবাড়ি”—মানে কি? রাত হলে বাড়ি জেগে ওঠে, না কি…
-
-
ঋধিমান বসু মাঝরাতে সেই ডাকটা আবার এল। “সু-র-জ…” নরম, স্নিগ্ধ অথচ ভয়ানকভাবে গভীর সেই আওয়াজ যেন কানে নয়, সোজা মগজে ঢুকে পড়ে। গায়ের রোম খাড়া করে দেয় এমন এক সুরে, যেন হাজার বছর আগের কোনো প্রতিজ্ঞার স্মৃতিচিহ্ন বাজছে। তিন মাস হলো সূরজ সাঁতরাগাছির এই পুরোনো ভাড়াবাড়িতে উঠেছে। চাকরির কারণে কলকাতা থেকে দূরে, একটু নিরিবিলি জায়গা খুঁজছিল। বাড়িটা পছন্দ হয়েছিল শুধু একটাই কারণে—ভাড়া খুব কম। আর যেটা কম, সেটা সবসময় সন্দেহজনক হয়। সূরজ একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু তার মনে আজীবন একটা ফাঁকা জায়গা ছিল। সম্পর্কের ক্ষেত্রে বারবার ব্যর্থতা, মনের মতো কাউকে না পাওয়া, একাকীত্ব তাকে নীরব করে তুলেছিল। সে ভাবত, “যদি…