নির্মলেন্দু বিশ্বাস ১ দূর পশ্চিমবঙ্গের অরণ্যঘেরা অঞ্চলে, যেখানে ঘন বনভূমি আর ভাঙাচোরা ধ্বংসাবশেষ প্রকৃতির আঁচলে লুকিয়ে থাকে, সেখানে এসে পৌঁছেছিল একদল প্রত্নতত্ত্ববিদ। দলের নেতৃত্বে ছিলেন ড. অনিরুদ্ধ, এক সুপরিচিত কিন্তু রহস্যময় গবেষক, যিনি ইতিহাসের হারানো অধ্যায়গুলো উন্মোচন করার জন্য প্রায় অর্ধেক জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল—প্রাচীন মন্দিরগুলোর ধ্বংসস্তূপের ভেতর শুধু পাথরের স্তূপ নয়, লুকিয়ে আছে সভ্যতার অজানা কাহিনি, অদেখা প্রতীক আর অব্যাখ্যাত গোপন রহস্য। দলের সদস্যরা, যাদের মধ্যে ছিলেন তরুণ গবেষক, আলোকচিত্রী এবং স্থানীয় গাইডরা, সবাই এক অদ্ভুত উদ্দীপনায় ভরপুর ছিলেন। তাঁরা যখন লতাপাতায় আচ্ছাদিত, কালের ভারে নুয়ে পড়া সেই মন্দিরে প্রবেশ করলেন, চারপাশে নিস্তব্ধতা আর পাখির ডানার শব্দ…
-
-
সৌরভ রায় এক বহু বছর পর পাহাড়ের পাদদেশে পুরনো কাঠের বাড়িটায় ফিরেছেন অনিরুদ্ধ মুখার্জি। সময়টা নভেম্বরের শেষ, হিমেল বাতাস জানালার কাঁচে ঘষটে যাচ্ছে, আর গাছের ডালপালা কেমন যেন সুর করে কাঁপছে। কলকাতার শহুরে কোলাহল থেকে পালিয়ে আসা এই লোকটা একসময় নামী সাইকোলজিকাল থ্রিলার লেখক ছিলেন, কিন্তু গত ছয় বছর ধরে তার কলমে শব্দ নেই, চরিত্র নেই, কেবল এক শূন্যতা। বাড়িটা ছোট, কাঠের, একটু ঝুঁকে পড়েছে যেন সময়ের ভারে, কিন্তু তবু গৃহস্থালি আবহে নরম একটা শান্তি আছে এখানে। একসময় এই বাড়ির ঘরে ঘরে শব্দ ভেসে বেড়াত—পাখির ডাক, টাইপরাইটারের শব্দ, আর মাঝেমধ্যে হাসির ছায়া। এখন শুধুই নীরবতা, আর তাতে ভর করে আছে…