ৰূপকেশ শইকীয় অৰুণৰ জীৱন সেই দিনটোৰে আৰম্ভ হৈছিল, যেতিয়া তেওঁ দেখিলে মাক তীব্ৰ অসুখত পৰা অৱস্থাত। গাঁওখনৰ সৰু ঘৰখনৰ কোঠাত মাক বেডত শুই আছিল, মুখত বেছি জ্বৰ আৰু শৰীৰত অস্বাভাবিক দুর্বলতা দেখা গৈছিল। অৰুণৰ হৃদয় কঁপিবলৈ ধৰিলে, কিয়নো মাক তেওঁৰ বাবে সকলো আছিল—দুখৰ সময়ত আশ্ৰয়, আনন্দৰ সময়ত হাঁহিৰ উৎস। গাঁওখনৰ চিকিত্সকে মাকক ওষুধৰ পৰামৰ্শ দিলে, কিন্তু সেই সকলো চেষ্টা কোনো প্ৰভাৱ দেখুওৱা নাছিল। অৰুণ চকু ভৰাই কান্দিবলৈ ধৰিলে, মাকৰ দুখ আৰু কষ্টৰ আগ্ৰহত তেওঁ নিজক অসহায় বুলি অনুভৱ কৰিলে। তেওঁ অনুভৱ কৰিলে, কোনো সাধাৰণ চিকিত্সা, কোনো সৰু গাঁওৰ ডাক্তৰৰ সলাহ, মাকক বাঁচাবলৈ যথেষ্ট নহ’ব। অৰুণৰ মনত দৃঢ় সংকল্প জন্ম ল’লে—তেওঁ…
-
-
ঋত্বিক বসু পর্ব ১ শ্মশানের ধোঁয়া যেমন ধীরে ধীরে রাতের বাতাসে মিলিয়ে যায়, তেমনই গোপালচন্দ্রর জীবনও এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতায় মিশে গেছে। সে এই শ্মশানকর্তার কাজ করছে প্রায় পনেরো বছর। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত—কখনও কফিনে ঢাকা শরীর, কখনও শবযাত্রার সানাই, আবার কখনও হাহাকার করা আত্মীয়দের চোখের জলে ভিজে যাওয়া কাঠের চৌকি। তার কাছে সব যেন একই রকম। শ্মশান মানেই মৃত্যু, মৃত্যু মানেই চুপচাপ এক ছায়ার দিকে মিলিয়ে যাওয়া। কিন্তু সে রাতে কিছু যেন অন্যরকম ছিল। আগুন নিভে এসেছে, শেষ কাঠটুকু ছাইয়ে পরিণত হয়েছে। গোপালচন্দ্র বাঁশের ঝুড়ি হাতে গঙ্গার জলে ভিজিয়ে ছাই ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। চারদিক নির্জন, কেবল রাতের পেঁচার ডাক আর…
-
অনিন্দিতা ধর প্রথম পর্ব: “শেষ নয় শুরু” মধুরিমা বসে ছিল তার রুমের ছোট্ট সাইজের টেবিলের সামনে। হাতের কাপটি ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তার চোখের সামনে কিছুই স্পষ্ট ছিল না। এই কয়েক মাস ধরে, সে যেন এক অদ্ভুত ঘোরের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। রোহিত, তার স্বামী, প্রায়ই অফিসে ব্যস্ত থাকে, আর সে নিজে বেশিরভাগ সময় একাই থাকে। তার জীবনে কিছুই বদলানো হয়নি, কিছুই নতুন ছিল না। তার দিনগুলোর মধ্যে একঘেয়েমি ভর করেছে, আর তাকে আরও একাকী করে তুলেছে। যতবারই মধুরিমা আ鏈ুলের দিকে তাকায়, ততবারই মনে হয় যেন সে কিছু খুঁজছে—একটি চমক, একটি অজানা দিশা। তাকে যেন বিশ্বাস করতে বলেছিল যে,…
-
ব্রততি সুর অংশ ১: ব্রাশ আর ক্যানভাসের মিলন ধোঁয়া ধোঁয়া আলোর মাঝে, তেলরঙ আর টারপেনটাইনের মিশ্রিত গন্ধ বাতাসে ভাসছিল। পুরোনো কাঠের ঘ্রাণও মিশে গিয়েছিল তাতে, যেন স্টুডিওটা সময়ের সাথে নিজেকেই মুছে ফেলেছে। দেয়ালে রাখা বড় বড় ক্যানভাস, অপরিস্কৃত চিত্রকর্ম আর অসমাপ্ত প্রতিকৃতি গুলি নীরবতার সঙ্গেই আলাপ করছিল। এটি ছিল একান্ত এক জায়গা, যেখানে শিল্পী তার আত্মাকে প্রতিটি ব্রাশের টানে খুলে রাখে। অনির্বাণ রায়, আশি বছর বয়সী এই প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী, তাদের অন্যতম। তিনি এবারও তার এক অসাধারণ চিত্রকর্মের শেষের দিকের বিস্তারিত কাজ করছিলেন। তার হাত একটু কাঁপছিল, কিন্তু তাতে কোনো হুঁশ ছিল না। চোখের উপর মোটা চশমা হেলে পড়েছিল, কিন্তু তাকে…
-
অনিমা সেন পর্ব ১: প্রথম দেখা কলকাতার এক ঐতিহ্যবাহী কফি হাউসে, একটি স্বাভাবিক বিকেল, যেখানে মানুষের ভিড় এবং কফির গন্ধ মিশে এক অদ্ভুত মাধুর্যে পরিণত হয়, সেখানে প্রথমবারের মতো দেখা হয় নিলয় এবং রাধিকার। সেদিন রাধিকা কোনো কারণে তার usual জায়গা ছাড়িয়ে অন্য একটি টেবিলে বসেছিল। কফি হাউসে এসেছে তার বন্ধুদের সাথে কিছু সময় কাটাতে। তবে, তার মনের মধ্যে কিছু ছিল, যেটি সেদিন সঠিক সময়ে, সঠিক জায়গায় পেয়ে গিয়েছিল। সে আসলে কিছুটা বিধ্বস্ত, কিছুটা ক্লান্ত, আর ঠিক তখনই নিলয়ের চোখ পড়েছিল তার ওপর। নিলয় ছিল এক উচ্চাভিলাষী তরুণ। লেখক হতে চেয়েছিল, কিন্তু সে এখন এক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। সে…