• Bangla - কল্পবিজ্ঞান

    ভিনগ্রহের অতিথি

    অনিন্দ্য মুখাৰ্জী অধ্যায় ১ : অচেনা আলো শিলিগুড়ির শহর তখনও পুরোপুরি ঘুমিয়ে পড়েনি। পাহাড়ি হাওয়ায় মিশে ছিল চায়ের গন্ধ, দূরে ট্রেনের হুইসেল বাজছিল, আর আকাশে পূর্ণিমার আলো ছড়িয়ে পড়েছিল। ঠিক সেই সময়েই ঘটে গেল অদ্ভুত ঘটনা। অর্ণব, বয়সে মাত্র চৌদ্দ, তখন জানালার পাশে বসে খাতা-কলমে আঁকাআঁকি করছিল। হঠাৎই তার চোখে পড়ল, আকাশে যেন এক বিশাল আগুনের গোলা ছুটে আসছে। প্রথমে মনে হলো কোনো বিমান হয়তো দুর্ঘটনায় পড়েছে, কিন্তু ধীরে ধীরে সেটা আরও কাছে আসতে থাকলে স্পষ্ট হলো—এটা একেবারেই অন্যরকম। সেই গোলার চারপাশে ছিল নীল-সবুজ আলোর আভা, যা কোনোদিন কোনো আতশবাজিতেও দেখা যায়নি। মুহূর্তের মধ্যে পুরো আকাশ কেঁপে উঠল, আর সেই…

  • Bangla - কল্পবিজ্ঞান

    অপসৃজন

    বিশ্বরূপ দে অধ্যায় ১ – ভবিষ্যতের শহরের একান্ত গবেষণাগারে, যেখানে শূন্য শব্দের মধ্যেই বিজ্ঞানী অন্বেষণী নিজের চিন্তা ও আবিষ্কারের জগতে নিমগ্ন, সেখানে অনবদ্য এক মেশিনের জন্ম হতে চলেছে। অন্বেষণীর জীবন বরাবরই এক ধরনের একাকীত্বে ভরা—মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল শুধু প্রয়োজনের সীমার মধ্যে; বন্ধুত্ব, হাসি, মেলামেশা এগুলো তার জন্য অজানা বা হয়তো অবাঞ্ছিত। তবে তার একাকীত্ব কোনো বিষণ্ণতা নয়, বরং এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক অভ্যাস, যা তাকে তার গবেষণার গভীরে নিয়ে যায়। ছোটবেলা থেকেই সে স্বপ্ন দেখত এমন এক যন্ত্র নিয়ে, যা বাস্তবের সীমা অতিক্রম করে অন্য মহাবিশ্বের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনের সীমা তার কাছে কখনও সন্তুষ্টিজনক…

  • Bangla - কল্পবিজ্ঞান

    মনের ভ্রমণকারী

    প্ৰসূন মন্ডল প্রফেসর অরিন্দমের ল্যাবের ভেতরের পরিবেশ পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ল্যাবটি আধুনিক যন্ত্রপাতি, আলোকসজ্জা এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক নথি দিয়ে ভরা, যা যেন এক রহস্যময় জায়গার মতো মনে হয়। প্রফেসরের আবিষ্কৃত নতুন হেডসেটটি একটি চমকপ্রদ যন্ত্র, যার ধাতব কাঠামো এবং নরম প্যাডিং মানুষের মাথার সঙ্গে মিলিয়ে যায়। আলোছায়ার খেলা এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের শব্দ এক সঙ্গে মিলিয়ে এই ল্যাবকে জীবন্ত করে তোলে। অনির্বাণ, মীরা এবং রোহিত ল্যাবের মধ্যে প্রবেশ করতেই প্রথমে বিমোহিত হয়। তাদের চোখে ল্যাবটি এক অনন্য জগৎ মনে হয়, যেখানে বিজ্ঞান এবং কল্পনার মধ্যে সেতুবন্ধন ঘটেছে। প্রফেসর অরিন্দম নিজে একজন উদ্ভাবক এবং শিক্ষাবিদ, যার চোখে উদ্দীপনা ও গভীর…

  • Assamese

    পাৰদৰ ঘড়ী

    ময়ূৰ বৰাকী গুৱাহাটী বিশ্ববিদ্যালয়ৰ পদার্থবিদ্যা বিভাগৰ চতুৰ্থ বৰ্ষৰ ছাত্ৰ অৰ্ণৱ বৰুৱাই সেই সন্ধ্যাত মূলত কলেজৰ পৰা হস্টেললৈ উভতি যাব খোজিছিল, কিন্তু বামদিকৰ গলীপথৰ এক অচেনা অন্ধকাৰী মোহঁত তেওঁৰ মনত এক অদ্ভুত কৌতূহল জাগ্ৰত কৰিলে। আকাশত বৃষ্টি নামিব নামিব কৰি থমকিছিল, বতাহত আছিল তিতা ধোঁৱাৰ গন্ধ আৰু ছাঁতীৰ পৰা নামি অহা পানীৰ টোপালৰ আওয়াজ। গলীৰ দুপাশেৰে দীৰ্ঘকাল ধৰি মেণ্টেনেন্স নকৰা পুৰণি ঘৰতবোৰ, কিবা এক সময়ৰ স্বর্ণযুগৰ স্মৃতি বহন কৰি আছিল, যদিও বৰ্তমান সেগুলি চুপচাপ জং-লাগি থকাৰ নিদৰ্শনহে দাঙি ধৰিছিল। অৰ্ণৱে এতিয়ালৈকে কেতিয়াও এই গলীত পা নােদিয়াকৈ আছিল, কিন্তু এইবাৰ তেওঁৰ মনত যেন এক অদৃশ্য টান, “আজি যদি ঢুকি নাপো, কেতিয়াও নাহে”…