অনুপমা চ্যাটার্জী এক নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ, ঠান্ডা কলকাতা নিজের ছায়া ধীরে ধীরে ছড়িয়ে দিচ্ছে শহরের কোণায় কোণায়। সন্ধের আলো মিশে যাচ্ছে গলির অন্ধকারে। দেবাঞ্জন ঘোষাল, সবে মাত্র শেষ করল তার ফটোগ্রাফি অ্যাসাইনমেন্ট — এক পুরনো হাভেলির ধ্বংসপ্রাপ্ত দরজার ক্লোজআপ, ছেঁড়া পর্দার ফ্রেমে বন্দী বিকেলবেলার সূর্য। তার ক্যামেরা ব্যাগ কাঁধে ঝুলে আছে, পায়ে এক ক্লান্ত অথচ সন্তুষ্ট হাঁটা। হ্যারিসন রোড ধরে উত্তরদিকে হেঁটে চলেছে, উদ্দেশ্য কোনো চায়ের দোকান খুঁজে গরম পানীয়ে ঠান্ডা হাড়কে কিছুটা আরাম দেওয়া। কিন্তু গলির এক মোড়ে পৌঁছেই সে থেমে যায়। এক অচেনা রকমের নীরবতা তাকে টেনে ধরে, যেন সময় হঠাৎ থেমে গেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একজন নারী—কালো…
-
-
বিভাস চট্টোপাধ্যায় অধ্যায় ১ চন্দ্রকেতুগড়—এক নামই যেন রহস্যে মোড়া। সেই নাম শুনলেই মাথায় ভেসে ওঠে ধুলোমলিন প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাঠ, ঢিপির নিচে লুকিয়ে থাকা প্রাচীন সভ্যতার ছায়া, আর তারই মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা শ্মশানঘেরা এক পরিত্যক্ত মন্দির, যার নাম কেউ মুখে আনে না। ঠিক সেই জায়গাতেই এক বিকেলের শেষপ্রহরে এসে পৌঁছালেন ড. তীর্থজিত্ ঘোষ। ধুলোমাখা জিপগাড়ি থেকে নেমে তিনি চারপাশটা নিরীক্ষণ করলেন—উত্তরে মেঘে ঢাকা বনাঞ্চল, দক্ষিণে বিস্তীর্ণ পতিতভূমি, মাঝখানে পাথরে গড়া রাস্তা যেখানে দু’পাশে গা ছমছমে নীরবতা। তাঁর সঙ্গে আছে সহকারী বিজন বিশ্বাস, পঞ্চাশোর্ধ্ব ক্যামেরাম্যান, যার চোখে মিশ্রণ রয়েছে ভয় আর উত্তেজনার। এ অঞ্চল নিয়ে বহু কিংবদন্তি রয়েছে, কিন্তু তীর্থজিত্ তাদের একজন…