সৌমাভ গুহ ভোর থেকে দুপুর হয়ে গেছে, কিন্তু আকাশ যেন একরকম ম্লান নীলচে ধোঁয়াটে রঙে আচ্ছন্ন। মায়া কলেজের ক্লাস শেষ করে নিজের ব্যাগ হাতে নিয়ে বের হয়, মনে ঘুরপাক খাচ্ছে দিনের কাজের ক্লান্তি আর বন্ধুর সঙ্গে কেচ্ছা। রাস্তা ধুয়ে ধুয়ে যাচ্ছে হালকা হাওয়ায়, কিন্তু আকাশে কোনও পূর্বাভাস নেই যে, খুব শীঘ্রই যেন সেই ধুয়ে যাওয়া রং একটি প্রবল বৃষ্টিতে বদলে যাবে। মায়া ব্যস্ত, চোখে পড়ছে পাশের দোকানের রঙিন শাটার আর গাছের পাতায় জমে থাকা শিশিরের পানি, আর হঠাৎ মনে হলো আকাশে ঘন কালো মেঘ জড়ো হতে শুরু করেছে। মুহূর্তের মধ্যে কুঁড়ে কুঁড়ে বৃষ্টির কণাগুলো ঝরে পড়তে শুরু করে, আর মায়া…
-
-
নয়ন বিশ্বাস ১ কলকাতার ঘুমন্ত ভোরে, যখন গলির কুকুরগুলোও নিস্তব্ধ হয়ে যায়, ঠিক তখনই অরুণাভর স্বপ্ন শুরু হয়। এক নির্জন নীলচে আলোর ঘেরাটোপে সে দাঁড়িয়ে থাকে, সামনে দূরের এক বটগাছ, যার পাতা ঝরে না—শুধু ধীরে ধীরে হাওয়ায় ভাসে। প্রতিবার স্বপ্নটা শুরু হয় সেই গাছের নিচে, আর সেই মেয়েটি ধীরে ধীরে আবছা হয়ে এগিয়ে আসে কুয়াশার ভেতর থেকে। তার পরনে নীল রঙা ধুতি-সদৃশ এক শাড়ি, মুখে কোনো সাজ নেই, অথচ চোখে একধরনের জ্যোতি, যেন চাঁদের আলো সেখানে ঘনীভূত হয়েছে। “তুমি আবার এসেছো,” মেয়েটি বলে ধীর কণ্ঠে। “আমি জানতাম তুমি ফিরে আসবে। কিন্তু মনে রেখো, আমি বাস্তব না… আমি তোমার হৃদয়ে আছি।”…