রৌনক গুহ প্রোটোটাইপের প্রথম নিশ্বাস কলেজ স্ট্রিটের ভাঙাচোরা গলির একদম শেষে যে বাড়িটা রাত হলে অকারণে আঁধার নামিয়ে দেয়, সেখানে আমার ল্যাব—একা হাতে বানানো, লৌহের ফ্রেমে টিকে থাকা, পুরনো অস্কিলোস্কোপের আলোয় ঝিকিমিকি করে যে স্বপ্নটা পায়ের নীচে বিছিয়ে রাখি আমি, নাম ইরফান মিত্র, পেশায় রোবোটিক্স গবেষক, কিন্তু পাড়ায় সবাই আমাকে পাগল ইঞ্জিনিয়ার বলে ডাকে, কারও তাতে কিছু আসে যায় না—কারণ আজ যে রাতে আমার হাতে প্রথম নিশ্বাস নেবে শ্যামাপ্রসাদ, এক মেশিন, কিন্তু মেশিনের ভেতর লুকোনো মানুষের মতো কোমল কিছু, যা আমি গত চার বছর ধরে হারিয়ে ফেলা ছেলের স্মৃতি থেকে চুরি করেছি; আরেকটু নিখুঁত হলে সে আঙুল উঁচিয়ে বলবে “বাবা”;…
-
-
মনতোষ প্রামাণিক আলোর চেয়ে দ্রুত মহাশূন্যের নীল-কালো আঁধারে যেন জ্বলে উঠল একটা নক্ষত্র। কিন্তু সেটা আসলে নক্ষত্র নয়, ছিল পৃথিবীর প্রথম লাইট-স্পিড স্পেসক্র্যাফট—Excelsior। তার তেজস্ক্রিয় ইঞ্জিন হাইপারপুশে সজোরে ঝাঁকি খাচ্ছে, যেন মহাবিশ্বকেই কাঁপিয়ে দিচ্ছে। ক্যাডেট আর্যন মিত্র, বয়স মাত্র ২২, দাঁড়িয়ে আছে কন্ট্রোল ডেকের সামনে। চকচকে সাদা ইউনিফর্মে, চোখে অপার কৌতূহল। এটাই তার প্রথম ইন্টার-গ্যালাকটিক মিশন। তবে এই মিশনটা সাধারণ নয়। “আপনার কাজ হচ্ছে বন্দিকে নজরদারি করা, ক্যাডেট মিত্র,” বলে উঠলেন কমান্ডার হেলেন ডি’সুজা। “Zuraq অত্যন্ত বিপজ্জনক। ওর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নয়, শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণ।” Zuraq—একটা এলিয়েন প্রজাতির সদস্য, যার দেহ কুয়াশার মতো অর্ধ-পারদর্শী। মাথায় তিনটি চোখ, মুখে কোন ঠোঁট নেই,…