মিঠু নন্দী ১ গ্রামের মাঝামাঝি জায়গাটায় ছিল সেই পুরনো আটচালা। চারদিকে খোলা, শুধু ছাদের উপর কড়িকাঠ বসানো, টালির চালে ঢাকা, আর আটখানা পিলার সেই চালের ভার ধরে রেখেছে বলেই তার নাম আটচালা। বহু পুরনো ইতিহাস জড়িয়ে আছে এর সঙ্গে—কোনো এক সময় এই আটচালাতেই পূজা-পার্বণের আসর বসত, অন্নপ্রাশন হতো, গ্রামীণ নাটক-মুকাবিলা কিংবা যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হতো। সারা গ্রাম তখন একসাথে জমে যেত, শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবাই সেই আনন্দে শরিক হতো। দিনের বেলায় কিংবা উৎসবের কালে আটচালা যেন গ্রামীণ জীবনের প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু যখন রাত নামে, গ্রাম ডুবে যায় নিস্তব্ধতায়, আর বাতাসে ভেসে ওঠে শেয়ালের ডাক কিংবা দূরের ঝিঁঝিঁ পোকার সুর, তখন এই আটচালা দাঁড়িয়ে…
-
-
রক্তিম মজুমদার ১ কান্নার মতো এক বিষণ্ণ বাঁশির সুর যখন প্রথম শোনা গেল, তখন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সদ্য ঘুম থেকে উঠছিলেন। আসলে ঘুম বলে কিছু ছিল না—অচেনা বিছানা, কাঠের জানালার কড়চড় আওয়াজ, আর পাশের ঘর থেকে আসা থালার টুংটাং সব মিলিয়ে তার ঘুম গভীর হতে পারেনি। তিনি চোখ মেলে দেখলেন চারপাশ অন্ধকারে ডুবে, কেবল সামনের দেয়ালে রাখা ঘড়ির কাঁটা থেমে নেই। ৩টা ১০ বাজে। তিনি জানালার কপাট খুলে চেয়ে দেখলেন—বাইরে নিঃস্তব্ধতা; না কুকুরের ঘেউ ঘেউ, না পাখির ডানার শব্দ। কুয়াশায় ঢাকা মাঠের ওপারে কোথা থেকে যেন ভেসে আসছে বাঁশির মায়াবী সুর। না, রবি ঠাকুরের মতো মন ভোলানো নয়; এই সুরে যেন…