ঊর্মি রায়চৌধুরী ১ সকালটা ছিল শান্ত, যেন প্রকৃতির বুক জুড়ে এক অদ্ভুত শূন্যতা ছড়িয়ে আছে। অর্ণব চৌধুরী ও মৃণালিনী সেন সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভে পৌঁছেই সে শূন্যতাকে অনুভব করেছিল, যেন এ জঙ্গল কেবল সবুজ আর বন্য প্রাণে নয়—গভীর কোনো গোপন স্মৃতিতে পূর্ণ। ওডিশার মায়াবী ঘন বনপথ পেরিয়ে যখন তাদের জিপ গাড়িটা বন বিভাগের অনুমতিপত্রসহ রেঞ্জ অফিসে পৌঁছায়, তখন চারপাশের নিস্তব্ধতা একদিকে শান্তিদায়ক, আর অন্যদিকে অজানা কিছুর পূর্বাভাসের মতো ঠেকছিল। রেঞ্জার রুদ্র বেহেরা, মাঝবয়সী এক চৌকস বন আধিকারিক, সংক্ষিপ্ত হাসি আর কাঠখোট্টা চোখে তাদের অভ্যর্থনা জানালেন। পরিচয়পর্বের পর তিনি তাদের জানালেন, “তোমরা যে জায়গায় যেতে চাইছো সেটা একটু গভীর অঞ্চল, কম লোক…
-
-
মহুয়া নাগ এক রাধিকা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পায়ের ঘুঙুরজোড়ায় আলতো করে আঙুল বোলায়। সে জানে এই ঘুঙুরগুলো কেবল একটি বাদ্যযন্ত্র নয়, এগুলো তার অস্তিত্বের প্রতিধ্বনি। ঘরে বাতাস চলাচল করে না, মশারির ফাঁকে ভোরের আলো ঢুকে চিবুকে ছুঁয়ে যাচ্ছে; তবু তার মন যেন কোথাও চলে গেছে—এক বিস্তৃত মঞ্চে, যেখানে কেবল সে আছে, তার নাচ আছে, আর আছে নিঃশব্দ দর্শক। বাইরে থেকে শোনা যায় তবলার ঠেক-ঠুক শব্দ—তার বাবা সুবীর সেনের রেওয়াজ চলছে, ভোর পাঁচটার ধারা বজায় রেখে। রাধিকা সেই তাল চেনে, সেই লয় তার ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিদিন, কিন্তু আজকাল সে তবলার তাল নয়, শরীরের সঞ্চালনের ভাষা বুঝতে চায়। তার মা মীনাক্ষী…