নন্দিতা রায় ১ বৃষ্টিভেজা ব্যাঙ্গালোরের সন্ধ্যা তখন গা ছমছমে করে তুলেছিল, যখন অর্ণব সেনের ফোনটা বেজে উঠেছিল। সে তখন একটি ক্লায়েন্ট মিটিংয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, কফির কাপে চুমুক দিয়ে ল্যাপটপে পিক্সেল শিফট ঠিক করছিল। কিন্তু সেই একটানা বেজে চলা ফোনের শব্দ যেন আচমকা একটা অজানা সঙ্কেত হয়ে ঢুকে পড়ে তার শরীরের ভেতর। স্ক্রিনে নামটা দেখে মুহূর্তে নিঃশব্দ হয়ে যায়—‘ডা. অনিরুদ্ধ রায়’। সে বুঝে যায় কিছু একটা ভুল হয়েছে। ফোন ধরতেই ওপার থেকে ভারী গলায় খবরটা আসে—“আমার দুঃখিত অর্ণব, তোমার মা আমাদের মাঝে নেই।” কথাটা যেন স্থির বাতাসের মতো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। কিচ্ছু বলতে পারে না অর্ণব। এত ব্যস্ততায় গা ভাসানো একটা…
-
-
ঋতুপর্ণা চৌধুরী পর্ব ১: সেই দিনের আলো নীলপাহাড়ের গায়ে রোজ সন্ধ্যে নামে অদ্ভুত এক নরম রঙে। যেন আকাশ নিজেই তার ক্লান্তি গায়ে মেখে পাহাড়ের কোলে শুয়ে পড়ে। সেই রঙের নাম কেউ জানে না, কিন্তু ঊর্মির চোখে সে রঙের ছায়া আজও লেগে থাকে, বছর পেরিয়ে গেছে তবু। শিলারি-গাঁওয়ের গায়ে ছোট্ট কাঠের হোমস্টের বারান্দায় বসে সে দিনভর বই পড়ে। কিন্তু বইয়ের পৃষ্ঠায় শব্দগুলো যেন আবছা হয়ে আসে — যেন বই পড়ছে না, বরং অতীতের পাতাগুলোতেই বারবার হারিয়ে যাচ্ছে। তিন বছর আগে ঠিক এই জায়গাতেই প্রথম দেখা হয়েছিল তার সঙ্গে — অয়ন। অয়ন, পুরো নাম অয়ন সেনগুপ্ত, ছিল উত্তর কলকাতার ছেলে। পলিটেকনিক কলেজে…