প্ৰতুল দে ১ চায়ের গন্ধে ভেজা বিকেল হাসপাতালের নিঃশব্দ করিডোর, মেয়ের বিদেশ থেকে আসা না আসা নিয়ে হিসেব, রোজকার ডায়েরির পাতায় অনুপস্থিত মানুষটার অদৃশ্য ছায়া—এসবের মাঝখানে অনন্যা সেন নিজের জীবনের হিসেবনিকেশ করতে করতে কখন যে পঞ্চাশের ঘর পেরিয়ে এসেছেন, সেটা বুঝতেও পারেননি। স্বামীর মৃত্যুর পরে সংসারটা কেমন যেন ঝিমিয়ে গিয়েছিল, একটা দীর্ঘ নিঃশব্দতায় আবৃত একাকীত্ব। কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির ছোট্ট ফ্ল্যাটটা যেন ধীরে ধীরে তার ঘর নয়, নিঃশ্বাস নেওয়ার জায়গা হয়ে উঠেছিল। একমাত্র মেয়ে দীপা বিয়ের পর লন্ডনে পাড়ি দেওয়ার পরে সেই নিঃশব্দতা আরও ঘনীভূত হয়, যেন পুরোনো আসবাব, দেয়ালের রং, ড্রয়ারের ভাঁজে ভাঁজে শুধু স্মৃতি জমে থাকে, জীবনের চলন নয়।…