পৌলমী বসাক অধ্যায় ১ : ট্রেনের জানালা দিয়ে ধেয়ে যাওয়া দৃশ্য যেন অর্ণব আর ঈশিতার চোখে এক নতুন পৃথিবীর চিত্র আঁকছিল। কলকাতার কোলাহল পেরিয়ে ট্রেন যত ভেতরের দিকে এগোচ্ছিল, ততই বাড়ছিল সবুজের প্রলেপ, ঝকঝকে মাঠ আর দূরে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছের সারি। সাদা মেঘে ছাওয়া আকাশের নিচে এই ভ্রমণ যেন তাদের জন্য এক মুক্তির নিশ্বাস। কলেজে গত কয়েক মাস ধরে পরীক্ষা, প্রোজেক্ট আর শহরের চাপে তারা দু’জনেই যেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তাই গ্রামে ছুটি কাটাতে যাওয়ার এই পরিকল্পনা, যেটা প্রথমে হালকা মজার প্রস্তাব ছিল, এখন এক অদ্ভুত উচ্ছ্বাসে ভরে উঠেছে। ট্রেনের সীট ভাগাভাগি করে বসে অর্ণব আর ঈশিতা একে অপরের দিকে…
-
-
সুদীপ্ত দাস আরিয়ান আর নন্দিতা দু’জনের বাড়ি একই মহল্লায়। জন্ম থেকে একই পরিবেশে বড় হওয়া, দু’জনের পরিবারও অনেকটা কাছাকাছি। মহল্লার সরু গলিতে প্রতিদিন বিকেলে খেলাধুলার আসর বসত—লাঠি খেলা, লুকোচুরি, বা ক্রিকেটের ম্যাচ। সেই মাঠে সবসময় একসঙ্গে দেখা যেত আরিয়ান আর নন্দিতাকে। স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরও তাদের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা আরও বেড়ে যায়। প্রথম দিন যখন স্কুলে ক্লাস টিচার তাদের একই বেঞ্চে বসিয়ে দেন, তখন থেকেই যেন অদ্ভুত এক সখ্য তৈরি হয়। ছুটির টিফিনে নন্দিতার মা যে আলুভাজা দিয়ে পাঠাতেন, আরিয়ানের হাতে সেটা না দিলে নন্দিতার খাওয়া শেষ হতো না। আরিয়ানও টিফিনের ডিমটা ভেঙে নন্দিতাকে দিত—তাদের ছোট ছোট ভাগাভাগির ভেতরেই জন্ম নেয়…