অনন্যা চক্রবর্তী পর্ব ১ : স্টেশন নম্বর সাত শীতের বিকেল নামছিল একরকম ধীর অনুতাপে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের চতুর্থ প্ল্যাটফর্মটা অকারণে নির্জন হয়ে উঠেছিল — যেন এই শহর, এই ট্র্যাক, এই হুইসেল, এই কুয়াশার ভেতর লুকিয়ে রাখা হয়েছে কারও একান্ত চিঠির মতো কিছু, যা কেউ পড়ে না, তবুও লিখে যায়। ঈশিতা প্রথম দিন এই স্টেশনের এক কোণে দাঁড়িয়ে ভাবেনি, সে কবে নিজে এই শহরের নির্জনতায় মিশে যাবে। তার বুকে তখনও কলকাতার জ্যাম ছিল, ট্রামলাইনের শব্দ ছিল, আর ছিল ব্যস্ততা — যা ভেতরে ভেতরে তাকে ফাঁপা করে তুলছিল। দার্জিলিং কলেজ থেকে বদলি হয়ে এসেছেন একমাস হলো। কোয়ার্টারে বই খুলে বসতে গিয়ে যেসব…
-
-
ঈশিতা ঘোষ পর্ব ১ একটা অদেখা শহরের নাম কলেজ স্ট্রিটের শেষ মাথায় একটা ছোট কফির দোকান ছিল, যার নাম মনে নেই অর্ণবের। এমনকি তার বাইরের নামফলকটাও আজ মনে করার চেষ্টা করলে, চোখের সামনে শুধু ফ্যাকাশে হলদে রঙটা ভেসে ওঠে। তবু, সেই কফির গন্ধ, টেবিলের কাঠের দাগ, আর এককোণে বসে থাকা মেঘলার চোখের দিকে তাকিয়ে চুপ করে থাকার মুহূর্তগুলো অর্ণবের স্মৃতিতে আজও উজ্জ্বল। মেঘলা তখন সদ্য রেডিওতে কাজ পাওয়া এক স্বপ্নবিলাসিনী, আর অর্ণব তখন কবিতা লেখার ভান করে। তারা কেউই তখন জানত না, চিঠির যুগটা শেষ হতে চলেছে। সে সময় ফোন ছিল, ঠিকই, কিন্তু মেঘলা বলত — “কল করে বললে কথাটা…