অনিন্দিতা ধর প্রথম পর্ব: “শেষ নয় শুরু” মধুরিমা বসে ছিল তার রুমের ছোট্ট সাইজের টেবিলের সামনে। হাতের কাপটি ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তার চোখের সামনে কিছুই স্পষ্ট ছিল না। এই কয়েক মাস ধরে, সে যেন এক অদ্ভুত ঘোরের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। রোহিত, তার স্বামী, প্রায়ই অফিসে ব্যস্ত থাকে, আর সে নিজে বেশিরভাগ সময় একাই থাকে। তার জীবনে কিছুই বদলানো হয়নি, কিছুই নতুন ছিল না। তার দিনগুলোর মধ্যে একঘেয়েমি ভর করেছে, আর তাকে আরও একাকী করে তুলেছে। যতবারই মধুরিমা আ鏈ুলের দিকে তাকায়, ততবারই মনে হয় যেন সে কিছু খুঁজছে—একটি চমক, একটি অজানা দিশা। তাকে যেন বিশ্বাস করতে বলেছিল যে,…
-
-
সমাপ্তি বর্মন সকালটা ছিল মেঘলা, অথচ বৃষ্টির কোনো আভাস নেই। রুক্মিণীর মাথার ওপর দিয়ে পাখির ছায়া উড়ে গেল—একটা নীল কুড়ুলি, সেইরকম রঙিন পালকের পাখি যেটা কেবল কুশলনগরের আকাশেই দেখা যেত তাদের ছোটবেলায়। বিশ বছর পর এই জায়গাটায় ফিরে আসার সাহস সে নিজের কাছেই একটা বিস্ময় মনে হচ্ছিল। পাশে বসে থাকা ভাই অর্ণব হঠাৎ বলে উঠল, “এই রাস্তার বাঁকে একটা নারকেল গাছ ছিল, মনে আছে?” রুক্মিণী হেসে মাথা নাড়ল। “আর মনে নেই? ওই গাছটার নিচে দাঁড়িয়ে আমি তোকে গুমরার জুস খাওয়াই বলেছিলাম, আর তো তোর গায়ে গড়িয়ে পড়েছিল!” দুজনেই হেসে উঠল। সেই হাসির মধ্যে ছিল পুরনো দিনের গন্ধ, ছিল শৈশবের ডাকে…
-
জয় সাহা গলির মেয়ে সহেলীর জন্ম এক ছোট্ট শহরের এক অজপাড়া গলিতে। সে ছিল এক সাধারণ মেয়ে, যেখানে সমাজের চোখে তার কোন বিশেষ গুরুত্ব ছিল না। তার জীবন ছিল একেবারে নিরস, রুটিনমাফিক। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কাজ ছিল ঘরের কাজ, মা-বাবার সহায়তা, ছোট ভাই-বোনদের দেখাশোনা, আর মাঝে মধ্যে স্কুলে যাওয়া। তবে, সহেলী কখনোই এই নির্ধারিত জীবনটিকে সঙ্গী করতে পারেনি। তার মন ছুটতে চেয়েছিল দূরে, তার চোখ ছিল নতুন দিগন্তে, যেখানে জীবনের অনেক সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সে জানত, সে তার ছোট্ট গলির মধ্যেই বন্দী। সেই গলির প্রাচীরের বাইরের পৃথিবী তার জন্য এক কল্পনা মাত্র। সহেলী ছিল খুব চুপচাপ। একা থাকলেই…