সুদীপ নাগ অধ্যায় ১ অতিথি নয়, আপনজন হিসেবেই ফিরেছিল বিনয় হালদার সুন্দরবনের সেই ঘরটিতে—যেখানে তার শৈশব কেটেছিল, বাপ-ঠাকুর্দার স্মৃতি মিশে আছে গাছের পাতায়, মাটির গন্ধে। শহুরে জীবনের ধকল, চাকরির অনিশ্চয়তা আর মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সে স্থায়ীভাবে ফিরে এসেছিল পৈত্রিক ভিটেয়, সেই নদীঘেরা গ্রামে যেখান থেকে তার পূর্বপুরুষেরা একদিন নৌকা নিয়ে মধু সংগ্রহ করতে যেত, কাঁকড়া ধরত, গরান কাঠ চেনে ফিরত সন্ধ্যাবেলায়। সঙ্গে এসেছে স্ত্রী নন্দিনী ও সাত বছরের মেয়ে তিতলি। তিনটি মানুষ, তিন রকম মনোভাব নিয়ে ফিরেছে এই ঘরে। বিনয় যেন আশ্বাস খুঁজছিল, জীবনের ক্লান্ত ছন্দে ছুটি চাইছিল; নন্দিনী ফিরছিল সংশয়ে ভরা চোখে, বুকের গভীরে অজানা আতঙ্ক নিয়ে; আর…
-
-
শুভাশীষ পাল পর্ব ১: পাহাড়ের গা থেকে যাত্রা শিলিগুড়ি থেকে জিপ ছাড়ল সকাল আটটায়। ঋষভ জানালার ধারে বসে রেকর্ডারটা হাতে নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে একটা লাইন বলল, “আজ আমরা যাচ্ছি দার্জিলিং জেলার গভীর এক গ্রামে, যেখানে এখনও লোকমুখে ভয়ের সুরে উচ্চারিত হয় এক অঘোরী তান্ত্রিকের নাম—ভৃগুনাথ।” শান পিছনের সিটে বসে ক্যামেরার ব্যাগ আঁকড়ে ধরেছিল। মাথায় হালকা ঠান্ডা, বাইরে কুয়াশা। সামনে বসে গাইড টেমবা চুপচাপ পাহাড়ি রাস্তা দেখে গাড়ি চালাচ্ছিল, তার চোখে ছিল একটা অদ্ভুত স্থিরতা, যেন সে জানে তারা কোথায় যাচ্ছে, কিন্তু চায় না তারা সেখানে পৌঁছাক। চিলোংবস্তির নামটা প্রথম শোনা গিয়েছিল এক পুরোনো তান্ত্রিক পাণ্ডুলিপিতে, যেটা ঋষভ সংগ্রহ করেছিল…