শ্রেয়া বসু গ্রামের ভেতরটা এখনও যেন এক পুরোনো ছবির মতো আটকে আছে—মাটির রাস্তা, গাছপালার ছায়া, আর মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা শতবর্ষী জমিদারবাড়ি। বাড়িটার সামনে বিশাল দোতলা বারান্দা, অথচ তার উঠোনে কারও পদচিহ্ন নেই। বছরের পর বছর ধরে শুনে আসা কড়া নিয়ম—“মেয়েরা এই উঠোনে পা রাখবে না।” যেন মেয়েদের উপস্থিতি ওই পুরুষতান্ত্রিক প্রতীকের গাম্ভীর্য ভেঙে দেবে। শিউলি, গ্রামের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে, ছোট থেকেই শুনে এসেছে সেই নিষেধাজ্ঞার কথা। ছোটবেলায় ঠাকুমা গল্প শোনাতেন—একসময় নাকি জমিদারবাড়ির উঠোনে উৎসব হতো, নাটক হতো, পুজো হতো। কিন্তু সবই পুরুষদের দখলে। নারীরা থাকতো রান্নাঘরে বা অন্দরমহলে, দূর থেকে গোপনে তাকিয়ে দেখতো আনন্দ। সন্ধ্যার পর একদিন শিউলি হাঁটতে হাঁটতে…