স্বপ্ননীল ভৌমিক অধ্যায় ১: গোধূলির সময়, যখন সূর্য পশ্চিম দিকের আকাশে ধীরে ধীরে লালিমা ছড়াচ্ছে, নদীর পাড়ে সবকিছু যেন এক অদ্ভুত নীরবতায় ভরে যায়। বালুর ওপর হালকা পদচারণার শব্দ, বাতাসে ভেসে আসা সুগন্ধি ফুলের আভাস, আর দূর থেকে লতায় লুকোচুরি খেলতে থাকা পাখিদের কিচিরমিচির—সবকিছু মিলিয়ে একটি মনোরম ছায়াময় দৃশ্য তৈরি করেছিল। সেই পাড়ের বাঁকে, যেখানে জল এবং আকাশ একে অপরের সঙ্গে খেলতে থাকে, দুই কিশোর-কিশোরী হঠাৎ করেই দেখা করল। তারা দুজনেই প্রথমবার একে অপরের চোখের সঙ্গে মিলিত হল। কিশোরীর চোখে এক অদ্ভুত উচ্ছ্বাস, আর কিশোরের চোখে স্নিগ্ধ কৌতূহল। এই অচেনা মিলনের মধ্যে যেন লুকানো এক রহস্যময় অনুভূতি প্রবাহিত হতে থাকে।…
-
-
সঞ্জীৱন বৰুৱা মৰিগাঁও জিলাৰ এই গাঁওখন যেন সময়ৰ গতিত একে ৰকমে থমকি ৰৈছে। পাহাৰ, নদী আৰু প্ৰাকৃতিক সৌন্দর্যৰ মাজত গাঁওখনৰ সৰু-সৰু ঘৰবোৰ আৰু ধানখেত যেন একে সুৰে বাজে। সন্ধিয়া হ’লে নদীৰ ধাৰা যেন সোনালী আভাৰে উজ্জ্বল হয় আৰু পাখিৰ চিঞৰ সকলোকে সজাগ কৰি তোলে। গাঁওখনৰ মানুহৰ দৈনন্দিন জীৱন প্ৰায় একে ছন্দত চলে—সকালৰ পুৱা, মহিলাসকল ধানচাৰি বা বস্ত্ৰ ধুই, মানুহে হালধীয়া পথৰ মাজেৰে জীৱিকা নির্বাহ কৰে। যদিও সৰু, কিন্তু গাঁওখনৰ প্ৰকৃতি আৰু শান্তি, সকলোৰে হৃদয়ক এক অদ্ভুত আনন্দ আৰু শীতলতা দিয়ে। এই শান্তিৰ মাজেৰে, বিহুৰ আগমন যেন এক নতুন আৱহ আৰু উচ্ছ্বাস লৈ আহে। বিহুৰ আগমনে গাঁওখন একেবাৰে নতুন ৰূপ ধৰে।…
-
অদিতি চক্রবর্তী (১) ঋতমের কাছে গোধূলি বেলা সবসময়ই এক অদ্ভুত আকর্ষণের সময়। সূর্যের শেষ সোনালি আলো যখন নদীর জলে গিয়ে মিশে যায়, তখন আকাশ, জল আর বাতাস মিলেমিশে তৈরি করে এক রঙিন ক্যানভাস, যা তার আঁকার খাতায় ধরা পড়ে না, কিন্তু তার মনে গভীর ছাপ ফেলে। সেদিনও সে স্কুলের ব্যাগ ঘরে ফেলে দিয়ে হাতে স্কেচবুক আর পেন্সিল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিল সেই পরিচিত বাঁকের দিকে। রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে সে শুনতে পায় পাখিদের বাসায় ফেরার ডাক, দূরে কারো গরু ফেরানোর বাঁশি, আর গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে হালকা আলো এসে তার গায়ে পড়ছে। নদীর ধারের কাশফুলগুলো তখন গোধূলির আলোয় যেন রুপালি আভা…