সৌরদীপ মুখোপাধ্যায় পর্ব ১ – চাঁদের আড্ডা চাঁদের বুকে প্রথম সূর্যোদয় দেখা মানেই এক অদ্ভুত বিস্ময়। পৃথিবী থেকে তিরিশ লাখ কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকা এই মহল্লার প্রতিটি বাসিন্দার কাছে সেটাই যেন প্রতিদিন নতুন করে জন্ম নেওয়া। ২০৮০ সালের শারদীয় পূজোর আগের সপ্তাহে ভারতের প্রথম চন্দ্র-নিবাসে তৈরি হলো বাঙালি মহল্লা—যেখানে কাঁচের গম্বুজের নিচে রাস্তায় টং দোকান, মশলা-ভাজা টেলিভারি, বাঙালি দাদু-ঠাকুমাদের কণ্ঠে রেডিওতে রবীন্দ্রসঙ্গীত আর সন্ধের আড্ডায় ফুটবল নিয়ে উত্তেজনা। কেউ বিশ্বাস করতে পারত না যে এমন দিন একদিন আসবে, কিন্তু বিজ্ঞান ও স্বপ্ন একসাথে পথ দেখিয়েছে। পৃথিবী থেকে হাজার হাজার মানুষ নানা কারণে চাঁদে এসেছে—খনন শিল্প, গবেষণা, পর্যটন, বসতি গড়ে তোলার…
-
-
অহনা কর্মকার এক ট্রেনের জানালা দিয়ে নীল সমুদ্রের এক ঝলক দেখা যাওয়ার মুহূর্ত থেকেই আর্যার মনে হচ্ছিল, এই যাত্রাটা তার জন্য কিছু আলাদা বয়ে আনবে। কলকাতার গুমোট, ধোঁয়াটে আকাশ, অফিসের অসংখ্য ডেডলাইন আর অবিরাম ফোনকলের জঞ্জাল থেকে মুক্তি পেতে কতদিন ধরে সে একটা একান্ত ছুটির স্বপ্ন দেখছিল। ট্রেন থেকে নেমে অটোরিকশায় চড়ে সমুদ্রের পথে যেতে যেতে তার চোখে ধরা পড়ল পথের দুই ধারের শাঁখফুল গাছ, শুকনো নারকেলের খোলায় ভরা আঙিনা, আর বালির গন্ধমাখা হাওয়া। স্টেশনের কোলাহল ফিকে হয়ে এল, গাড়ির শব্দ কমতে লাগল, আর সমুদ্রের ঢেউয়ের ফিসফিসানি ক্রমশ স্পষ্ট হতে লাগল। ছোট্ট সমুদ্রতটের হোটেলে ব্যাগ রেখে সে যেন এক মুহূর্তও…