তমোঘ্ন সাহা অধ্যায় ১: চাঁদেরডিহির ছায়া পুরুলিয়ার পাহাড়ি রাস্তায় হেলেদুলে চলছিল জিপটা। চারপাশে যেন নিস্তব্ধতার শ্বাস পড়ে আছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল। গাছের ডালে বসে থাকা বেজিগুলোও চুপ, যেন কোনও রহস্যের গন্ধ পেয়েছে। অগ্নিবেশ মুখার্জী জানালার ধারে বসে মোটা কাঁচের চশমা ঠেলে সামনে তাকিয়ে আছেন, তাঁর চোখে ক্লান্তি থাকলেও উৎসাহের ঝলক স্পষ্ট। তাঁর হাতে ধরা একটা পুরনো চামড়ার খাতা—চণ্ডীমুখার মন্দির থেকে সংগৃহীত এক তান্ত্রিক পাণ্ডুলিপি, যেখানে কপালকুণ্ডলিনীর গুহার উল্লেখ পাওয়া গেছে। সাথে রয়েছেন তাঁর সহকর্মী ডঃ সরোজিনী রায়, যার চোখে ঝকঝকে বুদ্ধি ও ঠোঁটে লেগে থাকা সংশয়। তাঁদের গাইড জয়ন্তী হাঁসদা বসে আছে সামনের সিটে, একদৃষ্টে পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে। তার চিবুকের…
-
-
সমীর বাউড়ি এক পুরুলিয়ার চরীদা গ্রামের আকাশে যখন সূর্য ডুবে যেতে থাকে, তখন লাল মাটির উপর এক ধরনের নরম আলো পড়ে, যেন প্রকৃতি নিজেই নৃত্যের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ছোট্ট গ্রামটি পাহাড়, শাল-পিয়াল আর বিস্তীর্ণ ধুলিধূসর পথের মাঝে লুকিয়ে থাকা এক বিস্ময়ের নাম—যেখানে মুখোশ পরে নাচে পুরুষেরা, যেখানে ছৌ নাচ কেবল শিল্প নয়, আত্মার প্রকাশ। গ্রামের এক কোণে থাকে অরিত্র—এক কিশোর, যার চোখে মুখে জেদ, আর ভিতরে ভিতরে দগ্ধ হওয়া এক আগুন। সে ছেলেবেলা থেকেই ছৌ নাচের প্রতি আকৃষ্ট, কিন্তু সেই ভালোবাসা যেন চোরাগোপ্তা সম্পর্কের মতো—জানাজানি হলে শাস্তি। তার মা, এক সাধারণ কিন্তু কঠোর নারী, নিজের চুল কাটার দোকান চালিয়ে কোনোরকমে…