সায়ন্তনী ঘোষ পর্ব ১: ট্রেন যখন ছাড়ে, মন তখন কোথাও আটকে থাকে কলকাতা স্টেশনটা যেমন সব সময় গমগম করে, সেদিনও ঠিক তেমনই ব্যস্ত আর পাঁপড়ের মতো শব্দে ভরা ছিল। তবে আমাদের ভেতরে যেন কোনও শব্দ ছিল না। আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম দু’জন দু’দিকে মুখ করে — কেউ কিছু বলছে না, কেউ কিছু বলার চেষ্টাও করছে না। ট্রেন ছাড়ার দশ মিনিট আগে, আমার হাতের বোর্ডিং পাসটা খানিকটা ভিজে গিয়েছিল, জানি না মেঘের জল ছিল না চোখের জল। রুদ্র আমার থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ছিল, পিঠে রুকস্যাক, আর একটা নীল চেক শার্ট গায়ে। এই মানুষটার সঙ্গে আট বছর কেটে গেছে, অথচ আজও মাঝে…
-
-
অনির্বাণ সেনগুপ্ত কলকাতা থেকে কুয়াশার টানে রাত দশটা। জানলার বাইরে গরমে হাঁপিয়ে ওঠা শহর, আর আমার মাথায় কেবল একটাই ভাবনা—এই গরমে আর থাকা যাচ্ছে না। পাখার হাওয়াও যেন গায়ে লাগছে না ঠিকঠাক। তখনই ফোনটা বেজে উঠল। স্ক্রিনে দেখা গেল রাত্রির নাম। “শুন, তোকে একটা পাগলামির কথা বলি?” ওর গলার স্বরেই বুঝলাম, আবার কোনও হঠাৎ প্ল্যান। “বলো,” আমি নিঃসাড়ে বললাম। “চলো না সিকিম। এই বর্ষাকালটা একেবারে ম্যাজিক হয়ে উঠবে। মানুষ থাকবে কম, সবুজ থাকবে বেশি। বর্ষার সিকিম একেবারে অন্য রকম।” আমি একটু থামলাম। অফিসে কাজের চাপ এখন কম, বাড়িতে কেউ নেই। হঠাৎ কোথাও চলে যাওয়ার মতো সময় অনেকদিন পাইনি। কেমন একটা…