দিব্যেন্দু হালদার ১ গ্রীষ্মের শেষ বিকেল। গঙ্গার একটি শাখানদী নীরবে বইছে বাংলার এক অজ পাড়াগাঁয়ের পাশ দিয়ে। চারদিক জুড়ে সোনালি আলো ছড়িয়ে পড়েছে, গাছের পাতায় হাওয়ার মৃদু সুর বাজছে, অথচ গ্রামের মানুষজনের মধ্যে এক অদ্ভুত কৌতূহল ছড়িয়ে পড়েছে। খবর এসেছে—বারাণসী থেকে এক অঘোরী সাধক হঠাৎ এ গ্রামে এসে উপস্থিত হয়েছে। কালো অর্ধফাটা চাদর জড়ানো দেহ, গায়ে চন্দনের বদলে শ্মশানের ছাই, লম্বা জটাজুট বাঁধা চুল, গলায় কপালের মালা আর হাতে একটিমাত্র খুলি। তাকে দেখে প্রথমে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ভয়ে কেঁপে উঠেছিল। গ্রামের কয়েকজন প্রবীণ বলল, “ওরা অঘোরী—শ্মশানই ওদের ঘর।” সত্যিই, সন্ধ্যা নামতেই তাকে দেখা গেল গ্রামসংলগ্ন শ্মশানঘাটে বসতে। একলা আগুন জ্বালিয়ে…