সৌরভ মুখোপাধ্যায় পর্ব ১: পদ্মার তীরে ল্যাবরেটরি পদ্মার জল আজও যেমন তীব্র স্রোত নিয়ে বয়ে যায়, তেমনি তার বুকের উপর ভেসে আছে এক বিশাল ধাতব স্থাপনা। দূর থেকে দেখলে মনে হয় নদীর বুকে যেন ভেসে উঠেছে কোনও অচেনা দ্বীপ, কিন্তু কাছে গেলেই বোঝা যায় সেটি প্রকৃতির নয়, মানুষের তৈরি। নাম—“মেমরি রিসার্চ সেন্টার”, সংক্ষেপে এমআরসি। বিশাল বৃত্তাকার ল্যাবরেটরিটি নদীর স্রোতের সঙ্গে বাঁধা, তলায় শ’খানেক টারবাইন ঘুরছে ক্রমাগত, যা বিদ্যুৎ জোগাচ্ছে গোটা কেন্দ্রে। আর ভেতরে সাদা দেয়ালে ঝুলছে হাজার হাজার স্ক্রিন, টেবিলের উপর সারি সারি কাঁচের কনটেইনার, যেগুলোর ভেতরে ঝিলমিল করছে তরল আলো—কেউ বলে ওগুলো আসলে মানুষের ছেঁড়া স্বপ্ন। এখানকার বিজ্ঞানীরা দাবি…
-
-
বহ্নি চক্রবর্তী পর্ব ১ পদ্মার ওপার থেকে সূর্য যখন মাথার ঠিক ওপর উঠে এল, তখন রমিজ আলী তার নৌকাটা ধীরে ধীরে ঘাটে বাঁধছিল। ঘাটটা এখন অস্থায়ী—বাঁশের খুঁটি দিয়ে বাধানো, পেছনে শুকনো খড়ের ছাউনি। সকালে তিনটে পরিবার পার করে এনেছে ওপার থেকে, এখন আবার পাঁচজন অপেক্ষা করছে যাবার জন্য। রমিজ কারো নাম জিজ্ঞেস করে না, ধর্মও না, শুধু বলে—“চুপচাপ বসেন, ভয় পাইয়েন না।” তার নৌকায় ওঠা মানেই যেন এক নীরব চুক্তি—পদ্মা কিছুই মনে রাখে না, আর মাঝিও না। বছরখানেক আগেও এই নদীর পাশে ছিল তার স্ত্রী আর ছেলের কুটির, দুজনেই এক রাতে উধাও। কেউ বলে হিন্দুদের দাঙ্গাকারীরা তুলে নিয়ে গেছে, কেউ…